সকাল থেকেই শহরের রাস্তা থেকে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক, শহরের প্রাণকেন্দ্র পোস্ট অফিস মোড়, রথবাড়ী মোড়, সুকান্ত মোড়, গৌড় রোড , নেতাজি মোড় কোন জায়গাতেই লোকজনের দেখা নেই । জনতা কার্ফুয়ের শহরের রাস্তা থেকে উধাও হাজার হাজার টোটো । বন্ধ প্রায় সমস্ত বেসরকারি পরিবহন। হাতেগোনা সরকারি বাস রাস্তায় নামলেও সেগুলোতেও যাত্রী শূন্য অবস্থা। শহরের বাজার এলাকায় দোকানপাট দিনভর বন্ধ, এমনকী শহরে দৈনিক বাজার পর্যন্ত বসেনি।
advertisement
এই ছবি শহরের যেকোনও সফল বনধকেও হার মানিয়েছে । রাস্তায় শুধুমাত্র দেখা মিলেছে জরুরী পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত লোকজন, সংবাদমাধ্যমের কর্মী, আর পুলিশের ।
অন্যান্য দিন শহরের রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে সিভিক ভলান্টিয়ার ও পুলিশকে দেখা যায় ব্যস্ত থাকতে। এদিন বসে, নিজেদের মধ্যে গল্প করে সময় কাটিয়েছেন তাঁরা । আচমকা শহর জনমানব শূন্য হলে ঠিক কী অবস্থা হতে পারে তারই ছবি উঠে এসেছে শহরের গলি থেকে রাজপথে ।
শহরে সকাল থেকে দেখা মেলেনি সংবাদমাধ্যমের হকার, বাড়িতে দুধ বিক্রি করতে আসা লোকজন, বা ট্রলি গাড়িতে করে সবজি বিক্রেতার। জনতা কার্ফুয়ের প্রভাব এতটাই ছিল যে, জরুরী প্রয়োজনে বাইরে বেরিয়ে কোথাও এক কাপ চা' পাওয়ার উপায় ছিল না। চায়ের দোকান, পান-সিগারেটের দোকান, ফাস্টফুডের দোকান , টিফিন কর্নার সর্বত্রই ঝাঁপ বন্ধ। নজিরবিহীন শহরের ছবি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। এরইমধ্যে যে দু’একজন জরুরী কাজে শহরের রাস্তায় বেরিয়ে ছিলেন তাঁরাও অচেনা শহরের ছবি ক্যামেরাবন্দি করেছেন। এমনকী, অনেককে ফাঁকা রাস্তাকে সাক্ষী করে সেলফি তুলতে দেখা গিয়েছে।