মালদহ টাউন স্টেশনে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে ঘটে এমনই গা শিউরে ওঠার মতো কাণ্ড। স্টেশনের চার নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ছেড়ে তখন ধীরে ধীরে গতি বাড়াচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। ট্রেন ছাড়ার পরপরই এক বৃদ্ধ দম্পতি তাড়াহুড়ো করে চলন্ত ট্রেনের কামরায় ওঠার চেষ্টা করেন। একে প্রবীণ। শরীরও ততটা শক্ত সমর্থ্য নয়। তার ওপর চলন্ত ট্রেন। সব মিলিয়ে শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতে না পেরে ট্রেন থেকে পিছলে পড়ে যান বৃদ্ধা যাত্রী। ট্রেনের দরজার পা দানি থেকে শরীর ছিটকে পড়ে পিছনে। মুহূর্তের অসাবধানতায় ট্রেন আর প্ল্যাটফর্মের মাঝের অংশে পড়ে যাচ্ছিলেন তিনি। সম্ভাবনা ছিল চাকার নীচে চলে যাওয়ার। যেখানে অপেক্ষায় থাকে নিশ্চিত মৃত্যু।
advertisement
আরও পড়ুন- ফের দিল্লিতে নৃশংসতা, খোদ মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সনকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে গেল গাড়ি
কিন্তুু, এমন কিছু ঘটেনি, প্ল্যাটফর্মে কর্তব্যরত মহিলা আরপিএফ কনস্টেবল সুলতা মণ্ডলের তৎপরতায়। ওই বৃদ্ধাযাত্রীকে বাঁচাতে একই সঙ্গে এগিয়ে আসেন প্ল্যাটফর্মে থাকা এক রেলযাত্রীও। ছুটে এসে ট্রেন থেকে পড়ে যাওয়া বৃদ্ধাকে ধরে ফেলেন তাঁরা। এরপর ট্রেন আর প্ল্যাটফর্মের পাশ থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় নিরাপদ দূরত্বে। তখনও শরীরে কাঁপুনি স্পষ্ট। এভাবেই কোনওমতে জীবন বাঁচে ওই রেল যাত্রীর।
রেল সূত্রে খবর, পরবর্তীতে ওই বৃদ্ধ দম্পতিকে অন্য ট্রেনে উঠিয়ে গন্তব্যে পৌঁছনোর ব্যবস্থা করা হয়।
বৃদ্ধার শরীরে তেমন কোনও চোট, আঘাতও ছিল না। আরপিএফ কনস্টেবলের এমন সময়োচিত তৎপরতায় জীবন বাঁচে রেল যাত্রীর। সুলতা মণ্ডল নামে ওই আরপিএফ কনস্টেবলের কীর্তি নিয়ে এখন জোর চর্চা রেলের অন্দরে। খুশি উচ্চপদস্থ কর্তারাও।