জানা গিয়েছে, মালদহেরই কার্তিকটোলা প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক অমিয়। পরিবার ও আত্মীয়দের দশজনের দলের সঙ্গে মহাকুম্ভে স্নানে যান তিনি। ভিড়ের চাপে শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় তাঁর। দেহ ফিরল মালদহের বাড়িতে। শোকের ছায়া গ্রামজুড়ে। পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এলাকায় বৈষ্ণবনগরের তৃণমূল বিধায়ক চন্দনা সরকার। মহাকুম্ভের ব্যবস্থাপনা নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন মৃত শিক্ষকের সহযাত্রীরা। শিক্ষকের মৃত্যুতে যোগী সরকারের ব্যর্থতাকে নিশানা করেছেন তৃণমূল বিধায়ক।
advertisement
আরও পড়ুন: বাবার প্রেমিকাকে কুপিয়ে খুন করল নাবালক, ইএম বাইপাসের উপরে হাড় হিম করা ঘটনা! ধৃত ৩
জানা গিয়েছে, গত বুধবার ভোরে পুণ্যস্নান করেন অমিয়। স্নান সেরে ফেরার সময় ভিড়ের চাপে পরিবারের বাকিদের থেকে কিছু সময়ের জন্য বিচ্ছিন্ন হয়ে যান তিনি। পরে পরিবারের লোকজনকে খুঁজে পেলেও ভিড়ে শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তাঁর। অসুস্থ অবস্থায় বহুকষ্টে গাড়ির ব্যবস্থা করে তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
আজ সকালে অমিয়-র দেহ অ্যাম্বুল্যান্সে করে আনা হয় মালদহের বাড়িতে। সেখানে ভিড় জমান কাতারে কাতারে মানুষ। শোকের ছায়া নেমে আসে এলাকা জুড়ে। পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান বৈষ্ণবনগরের তৃণমূল বিধায়ক চন্দনা সরকার। পরিবারকে সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি তরতাজা যুবকের মৃত্যুর জন্য উত্তর প্রদেশের যোগী সরকারকে নিশানা করেন তৃণমূল বিধায়ক। কুম্ভমেলার প্রচারে উত্তরপ্রদেশ সরকার যতটা আগ্রহী ছিল, ব্যবস্থাপনার দিকে ততটা নজর দেওয়া হয়নি অভিযোগ বিধায়কের।
মৃত শিক্ষকের পরিবারের অভিযোগ, মহাকুম্ভ কয়েক কোটি মানুষ ভিড় জমিয়েছিলেন। কিন্তু, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থাপনা ছিল না। অমিয় অসুস্থ হয়ে যাওয়ার পর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়ি পেতে কালঘাম ছুটে গিয়েছে বলে অভিযোগ মৃত শিক্ষকের পরিবারের সদস্যদের৷