প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, দুষ্কৃতীরা প্রথমে স্কুলের সদর দরজার তালা ভেঙে ভিতরে ঢোকে। এরপর অফিস ঘর, মিড ডে মিলের ঘর, প্রধান শিক্ষকের ঘরের তালা ভাঙে। আলমারির লকার ভেঙে উধাও নগদ প্রায় ২০ হাজার টাকা। আরও কয়েকটি আলমারি ভেঙে নথিপত্র লন্ডভন্ড বা উধাও করা হয়েছে। কম্পিউটার, প্রিন্টার মেশিন তুলে নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। মিড ডে মিলের ঘরে ঢুকে সেখান থেকে নেওয়া হয়েছে গ্যাস ভর্তি সিলিন্ডার।
advertisement
স্কুলে দুষ্কৃতী তাণ্ডবের এই ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে। প্রশ্ন উঠছে, দুষ্কৃতীরা শুধুমাত্র চুরির উদ্দেশ্যে স্কুলে ঢুকেছিল নাকি কোনও নথিপত্র হাতিয়ে নেওয়া, খোঁজা বা লোপাট করা উদ্দেশ্য ছিল ?
আরও পড়ুন : পাটকাঠি দিয়ে দেবদেবীর মূর্তি বানিয়ে সাড়া ফেললেন শিলিগুড়ির এই যুবক
আপাতত এই প্রশ্নেরই উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। চুরির ধরন দেখে অনেকেই মনে করছেন, শুধুমাত্র চুরি করা দুষ্কৃতীদের একমাত্র উদ্দেশ্য নাও হতে পারে। তাছাড়া কোন আলমারিতে, কোন লকারে নগদ টাকা রয়েছে দুষ্কৃতীরা সেসব হদিশ পেল কিভাবে টানেও প্রশ্ন দানা বেঁধেছে।
তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ নিশ্চিত দুষ্কৃতীরা অনেকটা সময়় কাটিয়েছে স্কুলের ভিতরে। রীতিমতো সময় হাতে নিয়ে স্কুলে লুঠপাট ও তাণ্ডব চালানো হয়েছে। দুষ্কৃতীদের সঙ্গে কোনওরকম যানবাহনও থাকতে পারে। কারণ চুরি করা সামগ্রী শুধুমাত্র হাতে করে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। আবার দুষ্কৃতী তাণ্ডবের ঘটনার পেছনে স্থানীয় কোনওরকম যোগাযোগের সম্ভাবনাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না।
আরও পড়ুন : উপকারিতা অঢেল, এই বিক্রেতার হাতে মাখা আনারস খেতে রোজ উপচে পড়ে ভিড়
স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে প্রথমে চুরির ঘটনা জানা যায়। স্কুলে এসে বিষয়টি দেখে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। দ্রুত চুরি যাওয়া সামগ্রী উদ্ধারের আর্জি জানানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।