মালদহের বামনগোলা ব্লকের পাকুয়ার কানাতিপাড়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। তদন্তে নেমেছে পুলিশ ও খাদ্য সরবরাহ দফতর। যদিও রেশন কেনার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রেশন ডিলার কর্তৃপক্ষ। মালদহে রেশন ব্যবস্থায় গুরুতর অনিয়ম। দিব্যি চলছে ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প। অথচ অদ্ভুতভাবে নেই কোনও ফ্লেক্স। নেই কোনও রেশন সামগ্রী। রেশন নিতে লোকজনের ভিড় বেশ ভালই। কিন্তু, রহস্য হল অধিকাংশের হাতেই নেই রেশন সামগ্রী নেওয়ার কোনও ব্যাগপত্র। এক রেশন গ্রাহক স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এখানে ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পে চলে ‘চিরকুট’ লেখা আর নগদ টাকার লেনদেন। যাঁরা চাল বা আটা নেবেন তাঁদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয় বরাদ্দের পরিমাণ লেখা চিরকুট। সেই চিরকুট দেখে গুদাম থেকে মাল নিতে হয়।
advertisement
আরও পড়ুন– বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ থেকে পাচার হচ্ছিল শবদেহ! আটক পাঁচ
আর যেসব গ্রাহক, নিজের বরাদ্দ নেবেন না, তাঁরা হাতে হাতে পেয়ে যান রেশন না নেওয়ার নগদ টাকা। এখানে গ্রাহকদের রেশন সামগ্রী নিতে উৎসাহ না দিয়ে বরং নগদ টাকা হাতে তুলে দিতেই বেশি উৎসাহী রেশন ডিলারের লোকজন। গ্রাহকরা যেন বাড়ির দরজায় সরকারি রেশন সহজে পেয়ে যান, এজন্য রাজ্য সরকার চালু করেছে ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্প। অথচ, মালদহের পাকুয়ায় একে বদল করে নিজেদের মতো বেআইনি বন্দোবস্ত চালু করে ফেলেছেন রেশন ডিলার কর্তৃপক্ষ। যদিও গ্রাহকদের সমস্ত অভিযোগ মিথ্যে বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন রেশন ডিলারের ছেলে। দুয়ারে রেশন প্রকল্পের ফ্লেক্স কোথায়, গ্রাহকদের বরাদ্দ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি কোথায়, দোকান চলছে অথচ কোনও মালপত্র মজুত নেই কেন? এসব প্রশ্নে বেকায়দায় পড়ে নানা অদ্ভুত যুক্তি শোনা গেল রেশন ডিলারের ছেলের মুখে। তাঁর দাবি যে গাড়িতে রেশনের মাল সামগ্রী আসবে, তা বিকল হয়ে যাওয়াতেই মাল ছাড়া রেশন চলছে।
আরও পড়ুন– গবেষণার বিষয় নরেন্দ্র মোদি, প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে পিএইচডি করলেন এই মহিলা
ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছয় বামনগোলা থানার পুলিশ এবং ব্লকের খাদ্য সরবরাহ পরিদর্শক। রেশন ডিলার কি মালপত্র কিনতে পারেন? খাদ্য সরবরাহ দফতরের পরিদর্শক বলছেন এমন অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা হবে।