জানা গিয়েছে, আক্রান্ত ওই মহিলার নাম সুমিতা মুসহর। অভিযোগ, শনিবার রাতে বছর ত্রিশের ভাইজি সুমিতার উপরে ধারাল অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয় কাকা সাইরু মুসহর। হামলার সময় তাঁর হাতে ছিল ধারাল হাঁসুয়া। সুমিতার পরিবারের দাবি, মত্ত অবস্থায় ওই হামলা চালিয়েছিল সুমিতার কাকা সাইরু।
আরও পড়ুন: বাম্পার প্রাইজ! রাতারাতি কোটিপতি মালদার দিনমজুর, এত টাকা নিয়ে কী করবেন এবার?
advertisement
পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে আগেও বেশ কয়েকবার দুই পরিবারের মধ্যে বচসা ও গোলমাল হয়েছে। তবে এভাবে খুনের চেষ্টা হতে পারে তা কল্পনাও করতে পারেননি কেউই। অভিযোগ, রাতে আচমকায় বাড়িতে ফিরে সুমিতার পরিবারকে নানা ভাবে গালিগালাজ করতে থাকে কাকা সাইরু। স্বাভাবিকভাবেই প্রতিবাদ করতে এগিয়ে যায় ভাইজি সুমিতা।
কিন্তু কাকার হাতে যে ধারাল অস্ত্র রয়ে়ছে, রাতের অন্ধকারে তা আন্দাজ করতে পারেননি সুমিতা। বচসা চলতে চলতেই হঠাৎ, মেজাজ হারিয়ে ভাইঝির উপর চড়াও হয় কাকা। ধারাল অস্ত্র দিয়ে শুরু হয় এলোপাথাড়ি কোপ। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সুমিতা। তার পরেও তাঁর কোমরে, পেটে ধারাল অস্ত্রের কোপ মারা হয় বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একের পর এক কড়া নির্দেশ! বইমেলায় কিন্তু হাল্কা মেজাজেই বিচারপতি বসু
পরিবার ও প্রতিবেশীরা রক্তাক্ত সুমিতাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয়় হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এদিকে প্রতিবেশীরা সরব হতেই এলাকা থেকে পালায় অভিযুক্ত কাকা।
আক্রান্তের পরিবারের অভিযোগ, কোনওরকম প্ররোচনা ছাড়াই হামলা চালানো হয়। যেভাবে এলোপাথাড়ি কোপ মারা হয় তাতে স্পষ্ট খুনের উদ্দেশ্য ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ খতিয়ে় দেখা হচ্ছে। সুস্থ হলে আক্রান্তের সঙ্গেও কথা বলা হবে। অভিযুক্তের খোঁজ চলছে। দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে।