মালদহের রতুয়ার চাপরা গ্রামে ঢোকার মুখে রয়েছে বারোমাসিয়া নালা। সেই নালার উপর তৈরি হয়েছে নতুন কালভার্ট। গ্রামবাসীর যাতায়াতের জন্য ওই কালভার্টই মূল যোগাযোগের পথ। কিন্তু সেই কালভার্টের কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, নতুন করে তৈরি হওয়া কালভার্টের একাধিক অংশে ইতিমধ্যেই ফাটল ধরেছে। প্রায় ৩২ লক্ষ টাকা ব্যয় করে ওই কালভার্ট তৈরি করে মালদহ জেলা পরিষদ। এদিকে শুধু কালভার্ট নয়, অ্যাপ্রোচ রোডের কাজ নিয়েও ক্ষোভ এলাকাবাসীর।
advertisement
আরও পড়ুন- ত্রিপুরায় ভোটের ফল প্রকাশের পরে শান্তিরক্ষার আবেদন বিজেপি ও বাম-কংগ্রেস জোটের
অ্যাপ্রোচ রোডের সঙ্গে কালভার্টের যোগাযোগের জায়গা বেশ কিছুটা উঁচু-নিচু। ফলে সাইকেল, মোটরবাইক, ছোট গাড়ি চলাচলে দৈনন্দিন সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এমনকি পথচারীরাও সমস্যায় পড়ছেন। মাঝেমধ্যে ছোটখাটো দুর্ঘটনাও হচ্ছে। তবে স্থানীয় মানুষের সবচেয়ে বেশি ক্ষোভ কালভার্টে তৈরি হওয়া ফাটল ঘিরে। কালভার্টের চারটি পাখনাতেই ফাটল ধরেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের আশঙ্কা, বর্ষার মরশুমে নালাতে জল বাড়লেই কালভার্ট ভেঙে পড়তে পারে। এ নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধেও ফুঁসছে গোটা গ্রাম। এদিকে কালভার্টে ফাটল ধামাচাপা দিতে বাইরে থেকে বালি ও সিমেন্ট প্রলেপ দেওয়া হয়েছে। যা অল্প আঘাতেই ধসে পড়ছে।
বিকল্প কোনও প্রযুক্তির ব্যবহার করে স্থায়ীভাবে ফাটল মেরামত না হলে, শুধু বাইরে থেকে ফাটল বুঝিয়ে দিলেই সমস্যা মিটবে না। এমনটাই মত গ্রামবাসীদের। সমস্যা স্বীকার করেছেন স্থানীয় তৃণমূল জেলা পরিষদ সদস্য হুমায়ুন কবীর, এবং মালদহ জেলা পরিষদের তৃণমূল সভাধিপতি এটিএম রফিকুল হোসেন। নিম্নমানের কাজের তদন্ত এবং ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন সভাধিপতি। স্থানীয় চাপরা গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, বেহাল কালভার্টের কারণে তাঁদের দৈনন্দিন চলাফেরায় সমস্যা তৈরি হচ্ছে। শুধু তাই নয়, বর্ষা এলেই বিপদ আরও বাড়বে। স্থানীয় তৃণমূল জেলা পরিষদ সদস্য হুমায়ুন কবীর বলেন, ওই এলাকার মানুষের অভিযোগের সত্যতা রয়েছে। কালভার্টের চারটি পাখনাতেই ফাটল দেখা দিয়েছে। ওই ফাটল মেরামত কাজের জন্য ১০ লক্ষ টাকার প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। শীঘ্রই কাজ শুরু করা হবে। পাশাপাশি কালভার্ট তৈরিতে কারও ত্রুটি ছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।