সামসি গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকজন উপভোক্তাকে ডেকে পাঠিয়ে কথা বলে কেন্দ্রীয় দল। পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার কাজের অগ্রগতিও সরেজমিনে তদন্ত করেন কেন্দ্রের পাঠানো প্রতিনিধিরা। আবাস যোজনায় কত টাকা পেয়েছেন, কত ভাগে টাকা পেয়েছেন, টাকা পাওয়ার জন্য মাঝে কাউকে কোনওরকম অর্থ দিতে হয়েছে কিনা, এমন নানা প্রশ্ন জানতে চাওয়া হয় উপভোক্তাদের কাছে। পঞ্চায়েত কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নাম, তথ্য ধরে বিভিন্ন উপভোক্তাদের নামে দেখানো এলাকায় পুকুর খুঁজতে যান কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা ।
advertisement
আরও পড়ুন- মালদহে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, নয়ানজুলিতে পড়ল বাস, মৃত ২, আহত অন্তত ৩০
গ্রামীন এলাকায় যেসব জায়গায় ১০০ দিনের প্রকল্পে রাস্তার কাজ হয়েছে সেখানে 'ফলক' লাগানো রয়েছে কিনা তারও খোঁজ নেন। তদন্তকারীরা এদিন সামসির মহেশপুর, ভগবানপুর প্রভৃতি গ্রামীণ এলাকাতেও পরিদর্শন করেন। বেশিরভাগ উপভোক্তারাই নিজেদের জব কার্ড দেখান তদন্তকারীদের। টাকা পাওয়া নিয়েও তেমন কোনো গুরুতর অভিযোগ ওঠেনি। তবে পুকুর খনন করেও কেন্দ্রীয় বরাদ্দ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় টাকা না পাওয়ার প্রসঙ্গও ওঠে।
উপভোক্তাদের কয়েকজন জানান, পুকুর খনন করেছেন কিন্তু টাকা এখনও মেলেনি। ফলে সমস্যায় রয়েছেন তাঁরা। বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে সরেজমিনে যেসব তথ্য পান সেগুলি নথিভুক্ত করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। উপভোক্তাদের বক্তব্যও নথিভুক্ত করা হয়। মালদহ জেলায় কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বাস্তব চিত্র রিপোর্ট আকারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকে জমা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। যদিও প্রকাশ্যে এনিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তাঁরা।