নাম, নেপাল মণ্ডল৷ পেশায় টোটো চালক৷ খেলনাও বিক্রি করতেন অল্প বিস্তর৷ রশিলাদহ এলাকায় নিজের বাড়িতে একাই থাকতেন তিনি৷ নেপাল অত্যধিক মদ্যপানে আসক্ত থাকায় তিন মেয়েকে নিয়ে আলাদা থাকতেন তাঁর স্ত্রী৷
সূত্রের খবর, সপ্তাহখানেক আগে ওই ব্যক্তির বাড়িতে একটি চুরির ঘটনা ঘটে। সোনার গয়না, নগদ বেশ কয়েক হাজার টাকা, টিভি সহ মূল্যবান সামগ্রী চুরি যায়। চুরির ঘটনায় এলাকারই কিছু দুষ্কৃতীর নাম উঠে আসে। এই ঘটনা নিয়ে এলাকায় সালিশি বৈঠকও হয়। চুরির ঘটনায় থানায় অভিযোগ জানান ওই টোটোচালক।
advertisement
আরও পড়ুন: কৌটোয় ভরে ঘরে আনল কেউটে…নিমেষেই শেষ মা ও মেয়ে! কিন্তু কেন? কারণ জানলে চমকে যাবেন
মৃতের স্ত্রীর দাবি, গত বুধবার তাঁকে তাঁর স্বামী এ-ও জানিয়েছিলেন যে তাঁকে খুন করার চক্রান্ত করা হচ্ছে। কিন্তু, কারা হুমকি দিচ্ছে এনিয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানাননি তিনি। নেপালবাবু ভেবেছিলেন, হঠাৎ করে কেউ কেনই বা তাঁকে খুন করবে? এই ভেবে নেপাল বিষয়টায় বিশেষ আমল দেননি বলে দাবি তাঁর স্ত্রীয়ের৷
তারপর গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বাড়িতে এসে স্বামীকে ডাকাডাকি করেন ওই মহিলা৷ কিন্তু সেই সময় কেউ সাড়াশব্দ দেয়নি। প্রায়ই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় থাকায় স্বামীকে ডাকাডাকি করে সেবার ফিরে যান স্ত্রী। এরপর শুক্রবার সকালে খুনের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। ঘরের দরজাও খোলা অবস্থায় পাওয়া যায়। মৃতদেহের গলায় জড়ানো ছিল মশারির ফাঁস। মুখের উপরে চাপা দেওয়া ছিল বালিশ। বালিশে এবং মুখে রক্তের চিহ্ন মিলেছে।
আরও পড়ুন: হিটলারের সঙ্গে তুলনা! রাজ্য-রাজ্যপাল সম্পর্কে এখনও জ্বলছে আগুন? বিস্ফোরক মমতা
আরও জানা গিয়েছে, গত দু’দিন আগেই টোটো চালানো নিয়ে এলাকায় একটি গোলমালের ঘটনাও ঘটেছিল নেপালবাবুর সঙ্গে। কেউ বা কারা তাঁর টোটো আটকে রাখে বলেও অভিযোগ। এই খুনের ঘটনার পিছনে বাড়িতে চুরি বা টোটো আটকে রাখার ঘটনা কোনও ভাবে যুক্ত কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অবিলম্বে ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে পরিবার। খুনের ঘটনার পেছনে পরিচিতদের হাত থাকতে পারে বলে অনুমান পুলিশের। এদিকে খুনের ঘটনার জেরে সাত সকালে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।