তবে, আসিফের খুনের উদ্দেশ্য এবং মানসিক স্থিতি নিয়ে এখনও দ্বিধায় পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করলেও দাদা মহম্মদ আরিফকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। খুনের ঘটনা অভিযোগকারী আরিফ। তাকে রাজসাক্ষী করা হতে পারে। এই খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আসিফ মহম্মদের দাদা এবং মামার জবানবন্দি রেকর্ড করবে পুলিশ। দাদা মহম্মদ আরিফ, এবং মামা শিস মহম্মদের বয়ান রেকর্ড করা হবে।
advertisement
এদিকে, খুনের ঘটনায় ঘুমের ওষুধের প্রয়োগ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে মৃতদেহের ভিসেরা পরীক্ষা করাবে পুলিশ। কালিয়াচক কাণ্ডে খুনের ঘটনা মঙ্গলবার পুনর্নির্মাণ করা হতে পারে বলেও জানা গিয়েছে। যে মিস্ত্রিরা অদ্ভুত বাড়ি তৈরি করেছিলেন তাঁদেরও খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, চাকরি পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে নিজের মামার কাছ থেকেও আড়াই লক্ষ টাকা হাতিয়ে ছিল আসিফ। গত ১৪ জুন ভাগ্নে আসিফের কাছে ওই টাকা ফেরত নিতে বাড়িতে এসেছিলেন মামা । সেইসময় মামাকেউ খুন করে ফেলার হুমকি দিয়েছিল আসিফ।
"আমার কাছে অস্ত্র আছে, তোমাদেরকে খুন করে ফেলবো"- আসিফের এমন হুমকিতে সন্দেহ হয় মামার। এর আগে মামার বাড়িতে থাকলেও তাঁর সঙ্গে কিছুতেই ভাইয়ের কাছে আসতে চাইনি আরিফ। আরিফের না আসতে চাওয়া আর আসিফের খুনের হুমকি, এই দুই ঘটনা পরম্পরায় সন্দেহ জাগে মামার মনে।
পুলিশ সূত্রে খবর, পরিবারের চারজন খুনের পর প্রথমে কলকাতায় পালিয়ে যায় আরিফ। কয়েকদিনের মধ্যেই ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জের বারহাওড়ায় মামার বাড়িতে ফিরে আসে। এরপর থেকে সে মামার বাড়িতেই থাকছিল। কিন্ত, খুনের কথা তাঁদের কাছেও চেপে যায়।
এদিকে পুলিশি জেরায় আসিফ জানিয়েছে, বাবাকে চাপ দিয়ে অস্ত্র-গুলি কিনিয়েছিল সে। দেড় লক্ষ টাকা দিয়ে ওই অস্ত্র কেনা হয়েছিল। যদিও বাবা অস্ত্র কিনে দিয়েছিলেন এমনটা মনে করছে না পুলিশ। তদন্তকারীদের ধারণা, বহুদিন ধরেই খুনের পরিকল্পনা ছিল আসিফের। ঘুমের ওষুধ খাইয়ে, জলে চুবিয়ে খুন সফল না হলে, খুনের দ্বিতীয় পরিকল্পনাও তৈরি ছিল আসিফের। পরিবারের পাঁচজন কে আলাদা আলাদা অস্ত্র দিয়ে খুনের ছক ছিল।