কালিয়াচক হাই স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ইমরান শেখ জানান, সরকার নির্ধারিত ফি ২১৫ টাকা। এছাড়া সেন্টার ফি আরও ২৫ টাকা। সব মিলিয়ে মোট ফি দাঁড়ায় ২৪০ টাকা। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ তৃতীয় সেমিস্টারে উত্তীর্ণ ছাত্রদের কাছ থেকে ৫০০ টাকা এবং অনুত্তীর্ণ ছাত্রদের কাছ থেকে ৯০০ টাকা নিচ্ছে বলে অভিযোগ।
advertisement
ইমরান শেখের দাবি, এই বিষয়টি নিয়ে তিনি বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সায়েম আসগারের কাছে প্রশ্ন করলে তিনি উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক তাঁকে কলার ধরে টেনে মারধরও করেন। একইসঙ্গে স্কুল শিক্ষকরা অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার পরেও কোনও রশিদ বা রিসিভ কপি দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ তুলেছেন পড়ুয়ারা। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কালিয়াচক থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ অভিযোগও নেয়নি।
এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সায়েম আসগার কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে মালদহের ভারপ্রাপ্ত ডিআই মলয় মন্ডল জানান, সোশ্যাল মিডিয়া দেখে বিষয়টি জানতে পেরেছি। এরপরেই আমরা স্কুলের সঙ্গে যোগাযোগ করি। এসআইয়ের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছি। ছাত্রদের কাছ থেকে ৫০০ টাকা নেওয়া ঠিক নয়। কাউন্সেলিং নির্ধারিত রয়েছে ২১৫ টাকা। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বাড়তি ফি নিতে পারেন না। আমরা ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছি। এর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেব।
