ভোট প্রচারে বেরিয়ে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের আত্মীয়ের বাড়িতে শৌচকর্মের জন্য যান বিজেপি প্রার্থী মতিউর রহমান। এরপর তিনি বাড়ির এক মহিলার শ্লীলতাহানি চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। এমনকি ঘটনার প্রতিবাদ করলে বিজেপি প্রার্থীর দেহরক্ষীরা তাঁদের মারধর করে বলেও দাবী মালিয়র-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের। অভিযোগ, শুক্রবার রাতে মালিয়র পঞ্চায়েত এলাকায় প্রচারে যান বিজেপি প্রার্থী মতিউর রহমান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের কর্মী-সমর্থকরা। প্রচারের মধ্যেই বাথরুমের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন বিজেপির প্রার্থী মতিউর। দাবি, এরপরেই ওই বাড়ির এক মহিলাকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ তুলে হইচই শুরু করে দেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা।
advertisement
এ দিকে, যে মহিলাকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ উঠেছে, তিনি তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের আত্মীয়। আবার বিজেপি প্রার্থীর দাবি, ওই বাড়ির লোকজন তাঁর পরিচিত। সেই কারণেই তিনি বাড়ির ভেতরে গিয়েছিলেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এরপরেই দু'পক্ষের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়ে যায়। বিজেপি প্রার্থীর দাবি, তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য। এমনকি তাঁর পোশাক ছিঁড়ে দেওয়া হয়। পাল্টা তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য দাবি করেন, বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে দেহরক্ষী ছিলেন। ফলে তাঁকে মারার কোনও প্রশ্নই নেই। বরং প্রার্থীর নিজস্ব দেহরক্ষীরা তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যকে মেরেছে বলে দাবি করা হয়।
হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভার বিজেপির পর্যবেক্ষক অনিরুদ্ধ সাহা বলেন, প্রার্থী যে বাড়িতে গিয়েছিলেন তা তাঁর এক আত্মীয়ের বাড়ি। তাই বাথরুমের প্রয়োজনে বাড়ির ভেতরের গিয়েছিলেন। শ্লীলতাহানির অভিযোগ ভিত্তিহীন। বরং তৃণমূলীরাই প্রার্থীর ওপর হামলা চালিয়েছে। প্রার্থীর একাধিক দেহরক্ষী' রয়েছে। দেহরক্ষী' থাকার পরও হামলার অভিযোগ ভিত্তিহীন, পাল্টা দাবি তৃণমূল। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।
Sebak DebSarma