আগামী ৩ জুলাই ফের আসিফকে তোলা হবে মালদহ আদালতে। এদিন আসিফের হয়ে মালদহ আদালতে সওয়াল করেন তাঁর আইনজীবী সেন্টু মিঁয়া। এদিন দুই দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মামলার পরবর্তী দিনে জামিনের আর্জি জানানো হবে বলে জানিয়েছেন আসিফের আইনজীবী।
মালদহের কালিয়াচকের পুরাতন ১৬ মাইল গুরুটোলা এলাকায় বাবা, মা, ঠাকুরমা এবং বোনকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে হাত-মুখ বেঁধে জলে চুবিয়ে মারার অভিযোগ মহম্মদ আসিফের বিরুদ্ধে। এমনকি খুনের চেষ্টা করা হয় দাদাকেও। কালিয়াচকের এই খুনের ঘটনা গোটা রাজ্যেই হইচই ফেলে দেয় । মাত্র ১৯ বছর বয়সের আসিফের অপরাধ মনষ্কতা ভাবিয়ে তুলেছে তদন্তকারী থেকে মনোবিদদেরও। ভাই এর হাত থেকে খুন হতে হতে কোনও রকমে প্রাণে বেঁচে যায় দাদা আরিফ মহম্মদ।
advertisement
তবে মুখ খুললে তাঁকেও মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দিয়েছিল আসিফ। এতেই ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে প্রথমে কলকাতা পরে মামার বাড়ি ঝাড়খন্ডে পালিয়ে যায় আরিফ। দীর্ঘ প্রায় চার মাস পরে কালিয়াচক থানার পুলিশের কাছে এসে ভাইয়ের খুনের কীর্তির কথা জানায় আরিফ। এই মামলায় দাদা আরিফই অভিযোগকারী। এদিন আদালতে সরকারি আইনজীবী জানান, খুনের কথা স্বীকার করেছে আসিফ। শুধু তাই নয়, ঘটনাস্থল থেকে খুনে ব্যবহৃত প্রায় সব জিনিসই উদ্ধার করতে পেরেছে পুলিশ।
হেফাজতে নেওয়ার পর খুনে ব্যবহৃত প্লাইউড, মাদক মেশানোর কাজে ব্যবহৃত পানীয়ের বোতল, কফিনে জল দেওয়ার পাইপ, হাত মুখ বাঁধার জন্য ব্যবহৃত সেলোটেপ পাওয়া গিয়েছে ঘটনাস্থল থেকে। হেফাজতে নেওয়ার পরে ঘটনা ঘটানোর পুননির্মাণ করা হয়েছে। আসিফ খুন করেছে এমন ঘটনা তদন্তে স্পষ্ট।
পুলিশের তদন্তকারীদের দাবি, সম্পত্তিগত কারণেই পরিবারকে খুন করেছে আসিফ। এককভাবে বিপুল পারিবারিক সম্পত্তি ভোগ করার উদ্দেশ্য ছিল তার। তবে এই খুনের ঘটনায় এখনও যেসব বিষয় স্পষ্ট নয় তা হলো, আসিফের এত অস্ত্র প্রয়োজন হয়েছিল কেন? কোথা থেকে উদ্ধার হওয়া এত পরিমান অস্ত্র মজুথ করতে পেরেছিল আসিফ? পুলিশ কর্তারা জানিয়েছেন, এই বিষয়টির পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত কাজ চলছে।
সেবক দেবশর্মা