TRENDING:

পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে যমের মুখে গিয়ে পড়লেন চাঁচলের পরিযায়ী শ্রমিক! মর্মান্তিক পরিণতি, এক রাতে সব শেষ

Last Updated:

হরিয়ানা থেকে পুলিশের আতঙ্কে বাড়ি ফেরার পথে মর্মান্তিক পরিণতি পরিযায়ী শ্রমিকের। লরির ধাক্কায় মৃত্যু।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
মালদহ, গোপাল সূত্রধরঃ হরিয়ানা থেকে পুলিশের আতঙ্কে বাড়ি ফেরার সময়ে পথদুর্ঘটনায় মৃত্যু হল মালদহের চাঁচলের পরিযায়ী শ্রমিকের। জখম হয়েছেন পরিবারের আরও চারজন-সহ টোটো চালক। ভাগ্যক্রমে রক্ষা পেয়েছে সঙ্গে থাকা ছ’মাসের শিশুকন্যা।
দুর্ঘটনা প্রতীকী ছবি
দুর্ঘটনা প্রতীকী ছবি
advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের নাম মিনসারুল আলি (২৫)। বাড়ি চাঁচল- ১ ব্লকের মতিহারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শীতলপুর গ্রামে। বুধবার গভীর রাতে সামসি স্টেশন থেকে এলাকারই এক টোটোয় চেপে বাড়ি ফিরছিল ওই পরিবার। চাঁচল-সামসি বাইপাসে লরির ধাক্কায় টোটোটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। লরির চাকায় পা পিষে যায় মিনসারুলের। চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে কলকাতা নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান মিনসারুল। টোটো চালক রেজাউলক হক এবং পরিবারের বাকি চারজন প্রাথমিক চিকিৎসার পর বাড়িতে ফিরেছেন।

advertisement

আরও পড়ুনঃ বিপদ সীমার ঊর্ধ্বে গঙ্গার জলস্তর, ভাঙনে জেরবার নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা

বড় ছেলের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছে পরিবার। পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় হরিয়ানা পুলিশকেই দায়ী করছে পরিবার। অভিযোগ, হরিয়ানার গুরুগ্রামে দিন পনেরো আগে ওই পরিবার কাজে যায়। সেখানকার কাদিরপুরে একটি কলোনির ঝুপড়িতে তাঁরা থাকতেন। কিন্তু, বাংলাদেশি সন্দেহে বাংলাভাষীদের গত কয়েকদিন ধরেই পুলিশ আটক করে নিয়ে যাচ্ছিল। পুলিশ অভিযানে গেলে তাঁরা ঘর থেকে বেরিয়ে শিশু নিয়ে জঙ্গলে লুকিয়ে থাকতেন। সেই ভয় নিয়ে কোনওরকমে তাঁরা ট্রেনে করে বাড়িতে ফিরছিলেন।

advertisement

আরও পড়ুনঃ  অবশেষে মালদহ থেকে উড়বে বিমান…! মিলল সবুজ সঙ্কেত, জোরকদমে চলছে প্রস্তুতি, পরিষেবা চালু কবে?

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
দেখতে সাধারণ, স্বাদে লাজবাব, বাজারেও ব্যাপক চাহিদা! এবার পুকুরেই চাষ হবে 'এই' মাছ
আরও দেখুন

মৃতের স্ত্রী রাবেনা খাতুন জানান, পুলিশের ভয়ে রাতে জঙ্গলে লুকিয়ে থাকতাম। এভাবে থাকা সম্ভব হচ্ছিল না। তাই প্রাণ ভয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। হয়ত এখন বাড়ি না ফিরলে এমন ঘটনা ঘটত না। একই অভিযোগ নিহতের মা মিনারা বিবিরও। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য সাহাজান আলি বলেন, কয়েকদিন আগেই ওই পরিবার গুরুগ্রামে কাজে গিয়েছিল। পুলিশের ধরপাকড় না হলে তাঁরা ফিরত না। ঘটনাটি মর্মান্তিক। চাঁচল থানার পুলিশ জানিয়েছে ,ঘাতক লরিটির খোঁজ শুরু হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে যমের মুখে গিয়ে পড়লেন চাঁচলের পরিযায়ী শ্রমিক! মর্মান্তিক পরিণতি, এক রাতে সব শেষ
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল