মানিকের সেই সাহসিকতার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। মুখ্যমন্ত্রী প্রশংসা করেছেন মানিকের কাজের। সেই রিয়েল লাইফ হিরো মানিক আজ কালীপুজোর মণ্ডপ উদ্বোধন করতে আসছেন কলকাতায়। মানিক জানিয়েছেন, আজ সন্ধ্যায় তিনি উত্তর চব্বিশ পরগণার সোদপুরে একটি মণ্ডপ উদ্বোধন করবেন। সেখানেই নিজের সাহসিকতার গল্প শোনাবেন তিনি।
আরও পড়ুন: মালবাজার থেকে পর্যটন, পঞ্চায়েতের আগেই উত্তরবঙ্গে একের পর এক মাস্টারস্ট্রোক মমতার
advertisement
মহম্মদ মানিক জানান, প্রতিমা বিসর্জন দেখার জন্য বন্ধুদের সঙ্গে মালবাজারে গিয়েছিলেন। সেই সময় আচমকাই হড়পা বান আসে। অনেকে ভেসে যাচ্ছেন দেখে নিজের মোবাইল ফোনটা এক বন্ধুর হাতে দিয়ে নদীতে লাফিয়ে পড়েন। প্রায় ১০ জনকে উদ্ধার করেন তিনি। উদ্ধার করতে গিয়ে তাঁর পায়ের আঙুলও কেটে যায়। সোশ্যাল মিডিয়ার সৌজন্যে এখন মানিক ভাইরাল।
ডুয়ার্সের মালবাজার শহরের পাশাপাশি আশেপাশের বিভিন্ন চা বাগান এলাকা থেকে পুজো উদ্যোক্তারা তাদের প্রতিমা নিয়ে বিসর্জন দিতে আসেন এই মাল নদীতে। আর সেই বিসর্জন দেখতে ডুয়ার্সের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৬-৮ হাজার মানুষ দশমীর দিন এসেছিলেন বিসর্জন ঘাটে। হঠাই হড়পা বান আসে নদীতে। এর পরই জলের তোড়ে ভাসিয়ে নিয়ে যায় অনেককে। মৃত্যু হয় আট জনের৷
আরও পড়ুন: কেউ চা শ্রমিক, কেউ আবার গাড়ি চালান! মালবাজারের মানিক, দীপকদের স্বীকৃতি মমতার
মানিক বলেন, ‘‘নদীতে ঝাঁপ দেওয়ার সময় চিন্তা করিনি যে, আমি মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্তও পৌঁছে যাব। নিজের কাছে থাকা মোবাইলটা বন্ধুকে দিয়ে দিয়েছিলাম। ওই ভয়ঙ্কর জলের স্রোত থেকে ৯ থেকে ১০ জনের জীবন বাঁচাতে পেরেছি।মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা হবে, এটা কখনও কল্পনা করিনি। এত কাছ থেকে কোনও দিন মুখ্যমন্ত্রীকে দেখব, সেটাই তো ভাবিনি।’’
মানিকের সংযোজন,‘‘মুখ্যমন্ত্রী আমাদের সরকারি চাকরির আশ্বাস দিয়েছেন। কে নেবেন, কে নেবেন না তাঁদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে আমি ভেবে দেখছি, কোনও চাকরি করব কি না। করলে কোনটা করব!’’মানিকের অবশ্য বক্তব্য, "আমাকে ভালোবেসে পুজো উদ্বোধনে ডাকা হয়েছে। এটা আমার ভালো লাগছে৷ আমি চাই মানুষ, মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়াক।"