TRENDING:

'আর কখনও ভাসান দেখতে যাব না...' বিভীষিকাময় মুহূর্তগুলো যেন তাড়া করছে!

Last Updated:

অধিকারী পরিবার হারিয়েছে দুই জনকে। আর সেদিনের ঘটনা মনে করতে গিয়ে কার্যত নিজেদের অসহায় অবস্থার কথা উল্লেখ করছেন মিতালী অধিকারী।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#জলপাইগুড়ি: নিজের সন্তানকে রক্ষা করতে পারলেও, বাঁচাতে পারলেন না বাড়ির আর এক ছেলেকে। তাই সন্তান হারানোর যন্ত্রণা নিয়েই মালবাজারে বসে আছে মিতালী অধিকারী। মালবাজারের বর্ধিষ্ণু পাড়ায় বসবাস করেন অধিকারী পরিবার। এই পরিবারের সকলের সঙ্গেই মালবাজারের এলাকার মানুষের দারুণ পরিচয়। অধিকারী পরিবার হারিয়েছে দুই জনকে। আর সেদিনের ঘটনা মনে করতে গিয়ে কার্যত নিজেদের অসহায় অবস্থার কথা উল্লেখ করছেন মিতালী অধিকারী।
মালবাজার ট্রাজেডি
মালবাজার ট্রাজেডি
advertisement

স্বামী, ভাসুর, জা, ভাসুরের ছেলে, নিজের দুই সন্তানকে নিয়ে মাল নদীর ঘাটে ভাসান দেখতে গিয়েছিলেন তারা। মিতালী দেবী জানিয়েছেন, "আমরা বাড়ির সকলে এক সঙ্গেই ভাসান দেখতে যাই। এবারও গিয়েছিলাম। সবাই আনন্দ করেছি। স্থানীয়দের অনেকের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছি। এবারে যেহেতু ভাসানের জায়গা বদল করা হয়েছে, তাই আমরা অনেকেই চেয়েছিলাম ভাসানের জল মাথায় ছুঁয়ে আসতে৷ আমরা তখন ওখানে যাই৷ গাড়ি নামার রাস্তা করা হয়েছিল। সে অর্থে জল ছিল না। কারণ একদিকে বোল্ডার ফেলে নদীর স্রোত অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ফলে মানুষ সেই দিকেই যাচ্ছিল।"

advertisement

আরও পড়ুন : আজ পুজোর কার্নিভাল কি মাটি করবে বৃষ্টি? আবহাওয়ার বড় পূর্বাভাস! লেটেস্ট ওয়েদার আপডেট

"এরই মধ্যে নদীর জল যখন বাড়তে শুরু করে দেয়, তখনই মাইকে ঘোষণা করা হয়, সবাই নদী ছেড়ে উঠে চলে আসুন। আর তখনই হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। আমি আমার ছোট ছেলেকে নিয়ে জলে পড়ে যাই। জলের স্রোতে আমার ছেলে ভেসে  যাচ্ছিল। আমি ওর হাত ধরে আটকানোর চেষ্টা করি। আমার নীচে ও পড়ে যায়। এরপর আমাদের ওপর দিয়ে লোক চলে যাচ্ছিল। এক পুলিশ কর্মী আমাদের টেনে তোলার চেষ্টা করলেও তিনি পারেননি। এরই মধ্যে আমার স্বামী চলে আসেন। ওই অবস্থায় তিনি আমাদের টানেন। এর মধ্যে অপর এক পুলিশ আমাকে পাঁজাকোলা করে তোলেন। আমার স্বামী আমার ছোট ছেলেকে তুলে আনে।"

advertisement

আরও পড়ুন : 'দুর্ঘটনাই' নয়...! মালনদীর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে 'বিস্ফোরক' অভিযোগ বিজেপি প্রতিনিধি দলের

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

মিতালীদেবীর বক্তব্য অনুযায়ী, "সেই দিন যা অবস্থা হয়েছিল তাতে  আমি আমার সন্তান সৌম্যজিতকে হারিয়ে ফেলতাম। অনেক কষ্টে আমরা উদ্ধার হয়েছি। আমার বড় ছেলে আবার ভেসে গিয়ে একটা পাথরে আটকে যায়। আমরা সবাই প্রাণে বেঁচে গেলেও, আমার দেওরের ছেলেকে আমরা কেউ বাঁচাতে পারলাম না। অধিকারী পরিবারের এই অবস্থা দেখে শোকে কাতর গোটা এলাকা। তবে মিতালী দেবী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আর কোনও দিন ভাসানের ঘাটে যাব না।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
'আর কখনও ভাসান দেখতে যাব না...' বিভীষিকাময় মুহূর্তগুলো যেন তাড়া করছে!
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল