কার্তিকটোলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক অমিয়। পরিবার ও আত্মীয়দের দশজনের দলের সঙ্গে মহাকুম্ভে স্নানে যান তিনি। ভিড়ের চাপে শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় তাঁর। শুক্রবার দেহ ফিরেছে মালদহের বাড়িতে। শোকের ছায়া গ্রামজুড়ে। পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এলাকায় যান বৈষ্ণবনগরের তৃণমূল বিধায়ক চন্দনা সরকার। মহাকুম্ভের ব্যবস্থাপনা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন সহযাত্রীরা। শিক্ষকের মৃত্যুতে যোগী সরকারের ব্যর্থতাকে নিশানা তৃণমূল বিধায়কের।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্প কি বাতিল হয়ে যাবে? শুনেই হাইকোর্ট যা বলল, মমতা সরকারেরই জয়জয়কার
জানা গিয়েছে, গত বুধবার ভোরে পুণ্যস্নান করেন অমিয়। এরপর ফেরার সময় পরিবারের অনেকের সঙ্গে কিছু সময় পর বিচ্ছিন্ন হয়ে যান। পরে পরিবারের লোকজনকে খুঁজে পেলেও ভিড়ে শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তাঁর। অসুস্থ অবস্থায় বহুকষ্টে গাড়ির ব্যবস্থা করে তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। ঘটনায় কুম্ভমেলার অব্যবস্থা নিয়ে সরব হয়েছেন মৃতের সহযাত্রীরা।
আরও পড়ুন: লক্ষ লক্ষ যাত্রীর জন্য বড় খবর, ৩ দিন শিয়ালদহ দক্ষিণে ১০৮ ট্রেন বাতিল! কেন?
শুক্রবার সকালে অমিয়র দেহ অ্যাম্বুল্যান্সে আনা হয় মালদহের বাড়িতে। সেখানে ভিড় জমান কাতারে কাতারে মানুষ। শোকের ছায়া নেমে আসে এলাকা জুড়ে। পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান বৈষ্ণবনগরের তৃণমূল বিধায়ক চন্দনা সরকার। পরিবারকে সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি তরতাজা যুবকের মৃত্যুর জন্য উত্তর প্রদেশের যোগী সরকারকে নিশানা করেন তৃণমূল বিধায়ক। কুম্ভমেলার প্রচারে উত্তরপ্রদেশ সরকার যতটা আগ্রহী ছিল, ব্যবস্থাপনার দিকে সেভাবে নজর দেওয়া হয়নি অভিযোগ বিধায়কের।
ঝন্টু মণ্ডল
