ওই পরীক্ষার্থী শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ এমনটা নয়। বরং স্বাভাবিক চলাফেরা করতে যথেষ্ট সমস্যা রয়েছে। একনাগাড়ে বেশিক্ষণ বসে থাকাও তাঁর পক্ষে কষ্টকর। কিন্তু, এর পরও অদম্য মানসিকতায় হাসপাতালে বসেই মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতি চালিয়ে গিয়েছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসার ইচ্ছের কথা জানান শিরিন । এর পরই মালদা মেডিকেল কলেজে তাঁর পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। চিকিৎসক, পরীক্ষক ও নিরাপত্তাকর্মীদের নজরদারির মধ্যেই সুষ্ঠুভাবে চলছে পরীক্ষা পর্ব ।
advertisement
আরও পড়ুন : হাতির হামলায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর মৃত্যু, হাতির হামলা আটকাতে ৮ দফা গাইডলাইন নবান্নের
তবে শুধু শিরিন নন, মালদা মেডিক্যাল কলেজের প্রসূতি বিভাগে মাদ্রাসা পরীক্ষা দিচ্ছে আরও এক ছাত্রী-সাহারাবানু খাতুন। মালদহের মানিকচকের বালুটোলার বাসিন্দা সাহারাবানু। চার মাস আগে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন তিনি। শারীরিক অবস্থা অবনতি হওয়ায় দিন কয়েক আগে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখনও মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসাধীন সাহারাবানু। মালদা মেডিকেল কলেজেই শিরিনের মতোই মাদ্রাসা মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেছে সাহারাবানু। তাঁদের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
মালদা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায় আজ তাঁদের পরীক্ষার ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন। তিনি বলেন, " দুই ছাত্রীই হাসপাতালে বসেই পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছে। হাসপাতালেই পরীক্ষা দিচ্ছেন। শারীরিক সমস্যার মধ্যেও পড়ার প্রতি তাঁদের আগ্রহ উদাহরণস্বরূপ। মানসিকভাবে লেখাপড়ার প্রতি উৎসাহী না হলে এমনটা করা সম্ভব নয়। তাঁদের প্রচেষ্টা সত্যিই কুর্নিশ যোগ্য।"