আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গে যারা ঘুরতে যেতে যান তাদের জন্য সুখবর, বাড়ছে স্পেশ্যাল ট্রেনের সংখ্যা
“উত্তর মালদহ আসন জেতার মত অবস্থায় ছিল দল। উত্তর মালদহে বাইরে থেকে প্রার্থী বাছাই নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মৌসম। উত্তর মালদহে প্রার্থী নিয়ে কর্মীদের ক্ষোভ ছিল। বাইরে থেকে প্রার্থী নিয়ে অনেকেই অসন্তুষ্ট ছিলেন। পরে কর্মীরা নামলেও, ভোটাররা প্রার্থী মেনে নিতে পারেনি”, বললেন মৌসম। শুধু তাই নয়, তাঁর মতে, খারাপ ফলের জন্য জেলা নেতৃত্বের ব্যর্থতায় দায়ী, মুখ্যমন্ত্রী এবং অভিষেক অনেক চেষ্টা করেছেন। সঙ্গে তাঁর আরও প্রশ্ন, গোটা রাজ্যের নেত্রীর ওপর আস্থা রয়েছে, অথচ মালদহে কোথায় ঘাটতি?
advertisement
দলের ফলাফল নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতার নিরিখে নেতৃত্বকে রিপোর্ট দেবেন বলে জানিয়েছেন মৌসম। ২০২১ সালের মৌসমের সভাপতিত্বে মালদহ জেলার ১২টি বিধানসভার মধ্যে আটটিতে জয় পায় তৃণমূল। সেই প্রসঙ্গ তুলে মৌসম বলেন, “জেলা সভাপতি থেকে দলকে ভালো রেজাল্ট দিয়েছিলাম। এবার কেন এত খারাপ ফল? ব্লক, বিধানসভা ধরে ধরে পর্যালোচনা করা উচিত”।
উল্লেখ্য, এবার লোকসভায় উত্তর মালদহ আসনে প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে ছিলেন মৌসম। এজন্য প্রস্তুতিও শুরু করেন তিনি। কিন্তু, শেষমুহূর্তে মালদহ উত্তরে অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থী করে তৃণমূল। প্রার্থী ঘোষণার পরেই এনিয়ে আক্ষেপ জানিয়েছিলেন মৌসম। নিজে ভোটে দাঁড়ালে বিজেপিকে হারাতে পারতেন, এমনটাই আক্ষেপ ছিল মৌসমের। ফল প্রকাশের পরেও বিজেপিকে হারাতে না পারা নিয়ে হতাশ মৌসম। মালদহে ফলপ্রকাশ হতেই ক্ষোভের সুর তৃণমূল রাজ্যসভার সাংসদ ও প্রাক্তন জেলা সভাপতি মৌসমের গলায়। আগামী বিধানসভায় ভালো ফলের জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতির প্রয়োজন, মত মৌসমের। যদিও মৌসুমের কটাক্ষ নিয়ে মন্তব্যে নারাজ মালদা জেলা তৃণমূলের সভাপতি বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সী। তিনি বলেন, “এখনও পর্যালোচনা করে উঠতে পারিনি। পর্যালোচনার পরেই বলতে পারব জেলায় দলের বিপর্যয় কেন?”