তাই বাবার কাছে বায়না ধরাতেই বাবা লাল পেড়ে হলুদ শাড়ি কিনে এনেছিলেন ৷ সাধ করে শাড়িটি পরিয়েছিলেন ঠাকুরমা ৷ ঠাকুরমার হাতে সাজুগুজু করে চার বছরের বর্ণালি অঞ্জলি দিতে মণ্ডপে বেরিয়েছিল ৷ বাড়ি থেকে বেরলেও ফেরেনি সে ৷ বৃহস্পতিবার সে বাড়ি ফিরেছিল কিন্তু চোখ বন্ধ করেই ৷ জানতে পারা গিয়েছে প্রতিমার সামনে রাখা প্রদীপের আলোতেই আচমকা বর্ণালীর শাড়ি ও পরচুলায় আগুন ধরেই গিয়েছিল ৷ অগিদগ্ধ অবস্থায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে লড়াই করে ছোট্ট মেয়েটি তবে ২৪ ঘণ্টা টানা মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে গিয়ে হার মানে ছোট্ট মেয়েটি ৷
advertisement
একরত্তি মেয়ের মৃত্যুর খবর শুনে মায়ের অবস্থা শোকের সংজ্ঞা হারাচ্ছেন মা বীণা সরকার ৷ নিজের হাতেই নাতনিকে সাজিয়ে দিয়েছিলেন ঠাকুমা ৷ সে যের আর বাড়িতে ফিরবেনা এটা শুনে বারেবারে ঠাকুরমা ডুকরে ডুকরে কেঁদে উঠছেন ৷ শিলিগুড়ি ডাবগ্রাম ২ নং পঞ্চায়েতের ঠাকুরনগরের ভবেশ মোড়ের বাসিন্দা বিশ্বনাথ ও বীণা সরকারের একমাত্র মেয়ে বর্ণালী ৷ মেয়ের বায়না মেনে নিয়ে বাবা হলুদ শাড়ি ও পরচুলা কিনে এনেছিলেন ৷ সেই শাড়িতে আগুন লেগেই বিপত্তি হয়েছিল ৷ বাড়ির মেয়ে যেন সরস্বতী পুজোর আনন্দে সবাইকে কাঁদিয়ে ছাড়ল ৷ সরকার পরিবারে যেন শোকের ছায়া নেমে এসেছে ৷