এদিন সকাল বেলা চা-বাগান সংলগ্ন এলাকায় চা বাগানের শ্রমিকরা বাগানে কাজ করার সময় একটি চিতাশাবকের দেখতে পায়। ছোট শাবক দেখে অনেকেই শাবক টিকে হাতে তুলে নিয়ে সেলফি তোলেন আবার অনেকে এই বিরল দৃশ্য ক্যামেরা বন্দিও করে রাখেন। সেই বাগানের শ্রমিকদের মধ্যে একজন শাবকটিকে বাড়িতে এনে খাঁচায় বন্দী করে রাখেন বলে স্থানীয়দের দাবি। এর পর খবর দেওয়া হয় বনকর্মীদের। বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে চিতাবাঘের শাবকটিকে উদ্ধার করে আবারও সেই বাগানের যথাস্থানে রেখে আসে এবং তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: বক্সায় ফের মিলল 'রাজকীয়' দর্শন! জঙ্গলে বাড়ছে ট্র্যাপ-ক্যামের নজরদারি, কোন উদ্বেগে বনবস্তি?
মাল বন্যপ্রাণী স্কোয়াডের বনকর্মীরা জানান, 'শাবক থাকা মানে মা চিতাবাঘ আশেপাশে আছে। এভাবে শাবক তুলে নিয়ে এলে মা চিতাবাঘ আক্রমণ করতে পারে। আমরা যথাস্থানে রেখে এসে পর্যবেক্ষণ করছি। আশা করি রাতে মা চিতাবাঘ শাবককে নিয়ে যাবে। এভাবেই চিতাবাঘ শাবকদের নিয়ে স্থান পরিবর্তন করে।' তাঁরা আরও জানান, শাবকটিকে যতক্ষণ না তার মা চিতাবাঘ নিয়ে যাচ্ছে, ততক্ষণ সেই শাবকটির উপরে নজর রাখবে বন দফতর।
আরও পড়ুন: বক্সায় ৫ দিন পর চালু হচ্ছে জঙ্গল সাফারি, দর্শন মিলতেই পারে রয়্যাল বেঙ্গলের!
পরিবেশ প্রেমী নফসার আলি বলেন, 'চা বাগানের নালাগুলিতে সাধারণত চিতা শাবকদের দেখা যায়। কারণ চিতাবাঘ চা বাগানের নালাতেই বাচ্চা প্রসব করে থাকে নভেম্বর ডিসেম্বর মাসের দিকে। এখন শাবকগুলো অনেকটাই বড় হয়ে গিয়েছে। এখন তারা চলাফেরা করে নালা থেকে কখনও বাগানের উপরে, কখনও বা রাস্তায় চলে আসে। তাই এই সময়টাতে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। যেভাবে বাগানের শ্রমিকরা নিজের হাতে শাবকটিকে তুলে নিয়েছেন যে কোনও সময় মা চিতা হামলা করতে পারত। এমন কী মানুষের সংস্পর্শে এলে শাবকটিকে মা চিতা ফিরিয়ে নাও নিতে পারে। তাই বন দফতরের উচিত সঠিক নজরদারি চালানো শাবকটির উপরে।'
রকি চৌধুরী