দিন ১৫ আগের কথা। গিয়েছিলেন পাহাড়ি ঝর্ণায় জল খেতে। ঝর্ণার মুখে পাইপ দিয়ে জল খেতে গিয়েই বিপত্তি! জ্যান্ত জোঁক আঁকড়ে ধরে এক ব্যক্তির শ্বাসনালি! ১৫ দিন দিব্ব্যি শ্বাসনালিতেই অবাধে বিচরণ করছিল জোঁকটি। শ্বাসনালিতে কিছু একটা আটকে আছে বুঝতে পারছিলেন ওই ব্যক্তি। অসুবিধে হচ্ছিল স্বাভাবিক চলাফেরায়। পরিবারের পরামর্শে গতকাল, বুধবার বিকেলে তাঁকে ভর্তি করানো হয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।
advertisement
আরও পড়ুন: গরমের ছুটি ১০ দিন! পুজোয় কত? ২০২৩ সালে রাজ্যে কবে কবে স্কুলে ছুটি? দেখুন সম্পূর্ণ তালিকা
প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকেরাও বুঝছিলেন কিছু একটা আটকে আছে রোগীর শ্বাসনালিতে। এন্ডোস্কপি করতেই ছবি স্পষ্ট হয়ে আসে। পরীক্ষা যন্ত্রে দেখা যায় জ্যন্ত জোঁক ছটফট করছে রোগীর শ্বাসনালিতে! মূহূর্তে একটি টিম গঠন করে ফেলেন মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষ। সিনিয়র, জুনিয়র চিকিৎসকেরা তো ছিলেনই, নার্স-সহ স্বাস্থ্যকর্মীও ছিলেন।
আরও পড়ুন: শুক্রবার থেকেই আবহাওয়া বদল বাংলায়, ২৫ ডিসেম্বরের জন্য বড় পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের
আজ অস্ত্রোপচার করে চিকিৎসকদের একটি টিম। সফল অস্ত্রোপচার। তার পরেই সম্পূর্ণ সুস্থ মিরিকের ওই বাসিন্দা সাজিন রাই। ওটির বাইরে ছিল রোগীর পরিবার। রেড লাইট অফ করে চিকিৎসকেরা বেরিয়ে এসে যখন বললেন, ''অস্ত্রোপচার সফল'', তখন হাসি ফুটে ওঠে রোগীর স্ত্রী অনিতা রাই-সহ অন্যদের মুখেও।
মেডিক্যালের ইএনটি বিভাগের প্রধান ডা. রাধেশ্যাম মাহাতো জানান, মেডিক্যালে এই ধরনের অস্ত্রোপচার গত ৪০ বছরে হয়নি। কার্যত বিরল অস্ত্রোপচার আজ সফল হল মেডিক্যালে। পুরো টিমকেই অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি।
তিনি জানান, এর আগে শ্বাসনালিতে কয়েন আটকে থাকার অস্ত্রোপচার বহুবার হয়েছে। আরও কঠিন রোগের সফল অস্ত্রোপচার হয়েছে। তবে জ্যান্ত জোঁক আটকে থাকার ঘটনা বিরল। আপাতত পর্যবেক্ষণে থাকবেন সাজিন রাই। তাঁর স্ত্রী বলেন, ''আমরাও বুঝতে পারিনি জোঁক আটকে ছিল। পাহাড়ে জোঁকের সংখ্যা বেশি। অস্ত্রোপচার সফল হওয়ায় আমরা খুশি। স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে সাজিনের জীবন।''