এর আগে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সরকারী নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নদীর ওপর সেতু তৈরী করে যাতায়াতের সুব্যবস্থা করেছিল জমি কারবারীরা, অভিযোগ এমনই। এতে ওপারের নদীর চরের ওপর প্লটভিত্তিক জমির দাম কয়েক গুন বেড়ে যায়।
বিষয়টি নজরে আসতেই বিডিওর কাছে নালিশ জানান তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান। গত ২১ এপ্রিল রাজগঞ্জের বিডিও পুলিশ নিয়ে ওই সেতু গুঁড়িয়ে দেয়। তার পরই সামনে আসে নদীর চর দখল করা চক্রের কাহিনী।
advertisement
আরও পড়ুন- ভালবাসায় বাবা 'ভিলেন', প্রতিবেশী যুবতীকে বিয়ের দাবিতে ধরনায় বালুরঘাটের যুবক
শুধু সাহু নদীর চর দখলই নয়, শহর ও লাগোয়া এলাকায় মহানন্দা এবং বালাসন নদীর চর দখল এবং সরকারী জমির বেআইনি দখলের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমে আরো বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত ২৪ ঘন্টায় প্রধাননগর, ভক্তিনগর এবং মাটিগাড়া থানার বিশেষ অভিযানে পুলিশের জালে ১২ জমি মাফিয়া। এখনও পর্যন্ত ৫২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশের পরই সক্রিয় হয়ে ওঠে শিলিগুড়ি পুলিশ। পুরনো একাধিক মামলায় জমি মাফিয়াদের গ্রেফতার করছে পুলিশ। তা হলে এতদিন কেন কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকায় ছিল পুলিশ! অভিযোগ উঠছে।
শিলিগুড়ি পুলিশের গোয়েন্দা শাখার এসিপি রাজেন ছেত্রী বলেছেন, এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েকজন "মাথা" কেও গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযান চলবে। এই কাণ্ডে যারা জড়িত তাদের গ্রেফতার করা হবে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, থানাভিত্তিক জমি মাফিয়াদের নামের তালিকাও তৈরী করা হয়েছে। সেই তালিকা ধরেই অভিযানে নামছে পুলিশ।
আরও পড়ুন- নদীর চর চুরি! উত্তরবঙ্গে জমি মাফিয়াদের কাণ্ড শুনলে অবাক হয়ে যাবেন
শহর ছাড়িয়ে খড়িবাড়ি, নকশালবাড়ি এলাকাতেও সক্রিয় জমি মাফিয়ারা বলে অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই খড়িবাড়ির বাতাড়িয়া নদীর চর দখলের অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।