২০২১ এ বিজেপির টিকিটে বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন কৃষ্ণ কল্যাণী। জয়লাভের পর তৃণমূলে যোগদান করেন তিনি। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি একজন বড় ব্যবসায়ী।
advertisement
রায়গঞ্জে রয়েছে কৃষ্ণ কল্যাণীর পুরাতন বাড়ি। বছর পাঁচেক আগে তিনি অশোক পল্লীর কাছে এন এস রোডের ধারে বাড়ি তৈরি করেন। সূত্রের খবর, কৃষ্ণ কল্যানী বর্তমানে সেই বাড়িতেই থাকেন পরিবারকে নিয়ে। ঝা চকচকে লন, বিরাট গেট টপকে বাড়ির ভিতরে ঢুকলেই চক্ষু চড়কগাছ! কৃষ্ণ কল্যানীর বাড়ি যেন এক রূপকথা।
সিনেমা হল থেকে সুইমিংপুল লক্ষ লক্ষ টাকার চোখ ধাঁধানো আসবাব, এই নিয়েই রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর বাড়ি। বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর বাড়ির ভিতরের অন্দরসজ্জা দেখলে লজ্জা পাবেন বলিউডের স্টাররাও।
অনেকে মজা করে কৃষ্ণ কল্যানীর এই প্রাসাদোপম বাড়িকে শাহরুখ খানের ‘মন্নত’ এর সঙ্গে তুলনা করে থাকেন।সুন্দর নকশা থেকে তাক লাগানো আলোকসজ্জা, কৃষ্ণ কল্যাণীর বাড়ি পথ চলতি মানুষের অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে দাবি তাঁর বাড়ির গ্রাউন্ড ফ্লোরে রয়েছে আস্ত সুইমিং পুল। এছাড়াও বাড়ির মধ্যে রয়েছে একটি জিম। গাড়ি রাখার জন্য রয়েছে সুন্দর পার্কিং ব্যবস্থা।
স্থানীয়দের কথায়, ছোট একটা ব্যবসা থেকে আচমকা ফুলেফেঁপে ওঠেন কৃষ্ণ কল্যাণী। একথা নিজেও অবশ্য বহু বার বলেছেন বিধায়ক। বিশাল বাংলো স্টাইল বাড়ি, বিশাল বহুতল অফিস। আচমকাই গড়ে ওঠে সব। ২০১৬-২০১৭ সালের পর। এখন সেই উত্থানের পিছনে কোনও রকম অসঙ্গতি রয়েছে কিনা, সেটাই এবার আয়কর ও ইডি আধিকারিকদের আতস কাঁচের তলায়। অর্থাৎ আয়ের সঙ্গে কোনওরকম সঙ্গতিহীন সম্পত্তি আছে নাকি, সেটাই এবার খতিয়ে দেখতে চাইছেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা।