এই সময়েও পাহাড়ে নেমেছে পর্যটকের ঢল। ম্যালেও গিজগিজ করছে পর্যটকদের ভিড়। সাধারণত বর্ষায় অফ সিজনে পর্যটকদের ভিড় কমই থাকে। কিন্তু অন্য প্রান্তে এখন ভ্যাপসা গরম। সে কলকাতা হোক কিংবা দিল্লি। আর তাই স্বস্তির টানে ভিড় জমানো শৈলশহরে।
সেখানে বর্ষাতেও ঘুমন্ত বুদ্ধের দর্শন অবশ্যই বাড়তি পাওনা। টাইগার হিল, রক গার্ডেন, পদ্মজা নাইডু চিড়িয়াখানা থেকে বাতাসিয়ালুপ-সহ পর্যটন কেন্দ্রগুলিতেও এখন উপচে পড়া ভিড়। সাত সকালে কাঞ্চন দর্শনে মুগ্ধ পর্যটকেরা। বিভিন্ন ভিউ পয়েন্টে চলল দিনভর সেলফি আর গ্রুপফি তোলার হিড়িক।
advertisement
আরও পড়ুন: ঘুম থেকে উঠেই বাড়ির উঠোনে কী দেখলেন গৃহস্থ! হাড় হিম করা ছবি
এমন মনমুগ্ধ আবহাওয়ায় মজেছেন পর্যটকেরা। বেশ কয়েকজন তো বলেই ফেললেন, ''আর বাড়ি ফিরতে মন চাইছে না।''
গত কয়েকদিন ধরে অবিরাম বৃষ্টি আর ধস নিয়েই জেরবার ছিল পাহাড়। প্রতিদিনই ধসের জেরে জাতীয় সড়ক তো বটেই, পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকার সংযোগকারী রাস্তাতেও আটকে পড়েন অনেকেই। বৃষ্টিভেজা পাহাড়ে বেড়াতে এসে কার্যত হোটেল বন্দি হয়ে থাকতে হয়েছিল পর্যটকদের। ছাতা মাথায় নিয়ে হোটেল থেকে ম্যাল বা কেভেন্টার্স-গ্লেনারিজ। ঘুরে আবার রুমে ফিরে আসা। স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ায় বিরক্তি বাড়ছিল।
আরও পড়ুন: তিন দিন বন্ধ টয় ট্রেন, জয় রাইডেই দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাচ্ছেন পর্যটকরা
অবশেষে রবিবাসরীয় ছুটির দিনে মেঘের ভেলা সরিয়ে মাথা তুলে দাঁড়াল সূর্য। ঝলমলে আবহাওয়ায় মুগ্ধ হয়ে ওঠেন পর্যটকেরা। হালকা গরম কাপড় জড়িয়ে সোজা বেড়িয়ে পড়া। সকালটা কেউ শুরু করল টাইগার হিল দিয়ে। কেউ বা রক গার্ডেন। তারপর রুমে ফিরে ব্রেকফাস্ট সেরে সোজা ডেস্টিনেশন ম্যাল। চলল মোবাইলবন্দির মুহূর্ত। গরম চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে জমিয়ে আড্ডা। তারপর পাতে এল গরমা গরম মোমো! এই আবহাওয়াটাই যেন থাকে আরও কিছুদিন, চাইছেন পর্যটকেরা। খুশির আবহ পাহাড়ে!
Partha Sarkar