প্রসঙ্গত, সেবক-রংপো রুটের এই রেল ট্যানেলের কাজে প্রথম থেকেই অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি রেলমন্ত্রী থাকাকালীন ঘোষণা হয়েছিল এই প্রকল্পের। সেবক (Sevak) থেকে রংপো পর্যন্ত রেললাইন পাতার কাজ চলছিল বেশ কিছুদিন যাবৎ। বৃহস্পতিবার রাতেও কাজ চলছিল টানেলে। সাম্প্রতিককালে পাহাড়ে এভাবে টানেলে ধস (Landslide) নেমে মৃত্যুর ঘটনা বিশেষ ঘটেনি বলেই দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। সারাদিন, সারারাত টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ের মাটি আলগা হয়েই এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে মনে করা হচ্ছে।
advertisement
জানা গিয়েছে রংপোর কাছে ভালুখোলায় কাজ করছিলেন ৭ জন শ্রমিক। আচমকাই টানেলে ধস নামে। ভূগর্ভ থেকে বেরতে পারেননি তাঁরা। ফলে মাটি চাপা পড়ে সেখানেই ২ শ্রমিকের মৃত্যু হয়। আহত হন ৫ জন। তড়িঘড়ি তাঁদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী কালিম্পং জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ২ জনের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। মৃত ও আহত শ্রমিকরা সকলেই স্থানীয় বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, সাম্প্রতিককালে টানেলে ধস নেমে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি আগে। কেন এই দুর্যোগ পরিস্থিতিতেও রাতে কাজ করানো হচ্ছিল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
উত্তরবঙ্গে জলমগ্ন বহু এলাকা। পাহাড়ি এলাকাগুলি এমনিতেই বৃষ্টিতে যখন তখন বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। কালিম্পংয়ের জেলাশাসক আর বিমলা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে ১০ নং টানেলে দুর্ঘটনাটি ঘটে। আপাতত কাজ বন্ধ রয়েছে। আপাতত কয়েকদিন এমনই আবহাওয়া থাকবে উত্তরবঙ্গে। এমনই পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের। ফলে ঝুঁকি এড়াতে আগামী সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফর বাতিল করা হয়েছে।