সাবিরের মা পলি বিবি জানান, দিনকয়েক আগে একটি কালো স্কুলব্যাগ সাবিরকে রাখতে দিয়েছিল আসিফ। ব্যাগ তালা বন্ধ ছিল। বাড়ির পাশেই অন্য একটি নির্জন বাড়িতে ওই ব্যাগ লুকিয়ে রেখে আসে সাবির। পুলিশ এসে সেই ব্যাগ খুলে অস্ত্র উদ্ধার করেছে। জানা গিয়েছে, খুনের পর গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকবার বন্ধু আসিফের বাড়িতে গিয়েছিল সাবির। এমনকী গ্রেফতারের দিনও রাতে আসিফের জন্য খাবার পৌঁছে দিয়ে আসে সাবির। তবে খুনের কথা তার জানা ছিল না বলে দাবি পরিবারের। অস্ত্র রাখার অভিযোগে গ্রেপ্তার মালদহের কালিয়াচক কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র মাফুজের মা সোনা বিবি বলেন, দশম শ্রেণী পর্যন্ত একইসঙ্গে পড়ত আসিফ ও মাফুজ। আসিফ পড়াশোনা ছেড়ে দেওয়ার পর মাফুজকে তার সঙ্গে মিশতে বারবার বারণ করা হয়েছিল পরিবারের তরফে। এরপরও আসিফ কখন মাফুজের কাছে অস্ত্র রেখেছে তা নিয়ে হতবাক পরিবারের লোকজন। তদন্তকারীরা প্রাথমিকভাবে মনে করছেন, সম্পত্তিগত কারণেই এই খুনের ঘটনা হতে পারে।
advertisement
মূলত পারিবারিক সম্পত্তি থেকে অর্থ উপার্জনের চেষ্টা ছিল আসিফের। প্রতিবেশী এবং কিছু আত্মীয়দের কাছেও সে বেশ কিছু টাকা হাতিয়েছে বলে সূত্রের খবর। প্রথমে বাবাকে চাপ দিয়ে পারিবারিক সম্পত্তি বিক্রি করায় আসিফ। সেই টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর প্রায় দেড় বিঘা জমির ওপর দোতলা বাড়ি নিজের নামে লিখিয়ে নেয় সে। এরপরই পরিবারের বাকি সদস্যদের রাস্তা থেকে সরানোর ছক কষে। ঠান্ডা পানীয়ের সঙ্গে মাদক মিশিয়ে অজ্ঞান করার পর হাত-পা বেঁধে মুখ বন্ধ করে জলে চুবিয়ে খুন করা হয়।তবে খুনের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করার পরও এভাবে খুনে সফল না হলে বিকল্প হিসেবে গুলি করে খুনের জন্যই অস্ত্র মজুত করা হয়েছিল বলেও পুলিশের সন্দেহ। তবে এখনো পুলিশকে যে বিষয় ভাবাচ্ছে তা হল একসঙ্গে পরিবারের চারজনের খুনের উদ্দেশ্য কী? তাছাড়া মাত্র ১৯ বছরের যুবক এত অস্ত্র পেল কোথা থেকে? আপাতত তিন বন্ধুকে হেফাজতে নিয়ে একসঙ্গে বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা।