এই সব ব্যাপারে বিস্তারিত স্টাডি করেছিল কালিয়াচকের আসিফ। এদিকে ময়না তদন্তের রিপোর্ট পুলিশের কাছে যা এসেছে তা Inconclusive. সেই কারণে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছে পুলিশ। ভিসেরা পরীক্ষাও করা হবে।
অ্যাসিড বা কোনো কেমিকাল ব্যবহার হয়েছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গোডাউনের ভেতর কিছু কেমিকাল-এর ড্রাম মিলেছে। তার ভেতরে থাকা রাসায়নিক পরীক্ষা করা হচ্ছে। একই পরিবারের মৃত চারজনের দেহের সফট টিস্যু (যেমন পেট, থাই, গলা )- র সঙ্গে হাড়ে (হাত, পা, স্কাল )লেগে থাকা টিস্যু আলাদা করে পরীক্ষা করা হবে। এছাড়া পরীক্ষা করা হবে তিন ধরণের মাটির। গর্তের ওপরে থাকা মাটি। দেহের কাছ থেকে সংগ্রহ করা মাটি ও একদম গায়ে লেগে থাকা মাটির। Expert দের বক্তব্য, শুকনো মাটির ক্ষেত্রে দেহ কঙ্কাল হতে সময় লাগে। তুলনায় আদ্র মাটিতে দ্রুত কঙ্কালে পরিণত হয় দেহ। এক্ষেত্রে দুটো কারণে soil test হবে। এক chemical ব্যবহার হয়েছিল কি না তা নিশ্চিত হতে। দুই, কোন ধরনের মাটি তা বোঝারও প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারী অফিসাররা।
advertisement
ইতিমধ্যে থানায় আনা হয়েছে পাঁচটি ম্য়ানিকুইন। ধৃত আসিফকে জেরা করে থানার ভেতরেই দেহ কীভাবে রাখা হয়েছিল, কীভাবে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তা বোঝার চেষ্টা করা হবে। আসিফ ও তার দুই বন্ধুকে আনা হয়েছে। ২৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরে কী হয়েছিল, কোথা থেকে মৃতদেহ গোডাউনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সবটাই আজ পুনর্নির্মাণ করা হবে। ছবিতে আছে ছাদের ঘর থেকে বালিশ কম্বল বাজেয়াপ্ত করছে পুলিশ। আসিফ বলেছে, খুনের পর এই কম্বলে দেহ রেখে হিঁচড়ে সুড়ঙ্গ পার করে নিয়ে গেছিল গর্ত পযন্ত। বালিশ দিয়েছিল মাথার পেছনে যাতে মাথা ফেটে রক্তপাত না হয় মেঝেতে। গোডাউন থেকে মিলেছে চ্যানেল করা পাইপ।