অনুমতি মিলেছে যাত্রী পরিষেবা শুরু করার। সূত্রের খবর, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহেই যাত্রী নিয়ে জোকা থেকে তারাতলা পর্যন্ত ছুটতে পারে মেট্রো। ইতিমধ্যেই কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির তরফে এই প্রকল্পে যাত্রী পরিষেবার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তিন সপ্তাহ আগেই কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি জোকা থেকে তারাতলা মেট্রো পথ চালুর অনুমোদন দেন। কিন্তু তিনি অনুমতি দিলেই মেট্রো যাত্রী নিয়ে দৌড় শুরু করতে পারবে, এমন নিশ্চয়তা কোথায়? কারণ জোকা থেকে তারাতলা পর্যন্ত ছ'টি স্টেশনে মেট্রো চালাতে গেলে যে পরিমাণ কর্মী দরকার, সেই সংখ্যক কর্মী অপ্রতুল বলেই জানা যাচ্ছে। ট্রেলারের মাধ্যমে সড়কপথে আলাদা আলাদা করে সেই নন এসি মেট্রোর আটটি কোচ এনে তা জোকার কারশেডে জুড়ে রেক তৈরি করা হয়েছিল। আপাতত ওই রেক ছুটিয়েই মহড়া দৌড় চলছে।
advertisement
আরও পড়ুন: ছাদে ৫ ফুট লম্বা মাল বোঝাই করে ছুটছে দূরপাল্লার বাস, কলকাতার স্ট্যান্ডগুলিতে মারাত্মক দৃশ্য!
রেক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কারশেডের একটি অংশের কাজ তড়িঘড়ি সম্পূর্ণ করা হয়েছে। বর্তমানে অবশ্য নতুন রেক যাত্রী পরিষেবার জন্য নিয়ে আসা হয়েছে। যদিও সুবিশাল কারশেড সম্পূর্ণ হতে এখনও অনেক সময় লাগবে। আপাতত জোকা থেকে তারাতলার মধ্যে ছ’টি স্টেশন নিয়ে পরিষেবা শুরু করতেই মহড়া চলছে সপ্তাহের বেশ কয়েকটা দিন। এই ছ’টি স্টেশন হল জোকা, ঠাকুরপুকুর, শখেরবাজার, বেহালা চৌরাস্তা , বেহালা বাজার এবং তারাতলা। গত সেপ্টেম্বর মাসে এই পথে মেট্রোর তৃতীয় লাইনে বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ হয়েছে। তারপরেও গত আড়াই মাস ধরে চলছে একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা। প্রতিদিন সকালে ট্রেন চালানোর আগেও রেকের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ এবং লাইন পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। এখন ট্রেনের গতি স্বাভাবিক রেখেই মহড়া দেওয়া হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
জমি-জটের কারণে দীর্ঘ সময় প্রকল্পের কাজ নানা পর্বে ব্যাহত হওয়ায় পরিষেবা কবে থেকে শুরু হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিচ্ছিল। ওই মেট্রোপথে এখনও আধুনিক সিগন্যালিং ব্যবস্থা চালু হওয়ার কাজ বাকি। আপাতত সিগন্যাল ব্যবস্থা ছাড়াই একটি রেক ব্যবহার করে ‘ওয়ান ট্রেন সিস্টেম’-এ সেখানে মেট্রো চলবে। এই পদ্ধতিতে প্রান্তিক স্টেশন জোকা থেকে একটি রেক ছেড়ে বিভিন্ন স্টেশন হয়ে তারাতলা পৌঁছবে। তার পরে তারাতলা থেকে ফিরতি পথে জোকা আসবে। ওই রেকের আগে বা পরে কোনও ট্রেন চলবে না। কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি অনুমতি দিয়েছে এই পদ্ধতির। নতুন এসি রেক আনিয়ে যাত্রী পরিষেবা শুরু করা হবে। ডিসেম্বর মাসের শেষে আনুষ্ঠানিক ভাবে সাড়ে ছ’ কিলোমিটার মেট্রোপথে যাত্রী পরিষেবা খুলে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে রেল বোর্ড। সেটি আগামী সপ্তাহে হয় কিনা সকলের নজর সেদিকেই আছে ৷