এদিন তাঁর গলায় ছিল উল্টো সুর! দার্জিলিংয়ে রাজভবন থেকে বেড়িয়ে তিনি জানান, "আজ এনিয়ে কোনো কথাই হয়নি। আজ কিছু বলব না। যা বলার দিল্লিকে বলব।" তাহলে কি দলের চাপে সরে এলেন? জবাবে ফের বলেন, "আজ এখানে কিছু বলব না। দিল্লিকেই যা জানানোর জানাব। অন্যদিন বলব।" সূত্রের খবর, দলের কেন্দ্রীয় কমিটিও কড়া বার্তা দিয়েছিলেন জন বার্লাকে। রাজ্য নেতৃত্বও বার্লার দাবিকে সিলমোহর না দিয়ে 'ব্যক্তিগত' বলে প্রথম দিন থেকেই জানিয়েছিল। বার্লাকে সমর্থন জানিয়েছেন উত্তরের একাধিক বিধায়ক।
advertisement
সেই বার্লার মুখেই আজ পৃথক উত্তরবঙ্গ বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল নিয়ে কুলুপ! আজ দার্জিলিংয়ে রাজভবনে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কুমারগ্রামের বিধায়ক মনোজ ওঁরাও, প্রাক্তন সাংসদ দশরথ তিরকে সহ ৯ জন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য এবং একজন আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের সদস্যা। প্রায় ঘন্টা দেড়েক বৈঠক করেন। বৈঠক থেকে বেড়িয়ে বার্লা বলেন, "আলিপুরদুয়ারে নির্বাচিত গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যারা আজ ঘর ছাড়া। ভয়ে কাঁপছে। তৃণমূল নেতারা তো হুমকি দিচ্ছেনই, সঙ্গে পুলিশ অফিসারেরাও হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন প্রতিনিয়ত। তাই ঘর ছাড়ারা আজ তাঁর বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। গোটা বিষয়টি রাজ্যপালের কাছে জানানো হয়েছে। পুলিশ কর্তাদের বিরুদ্ধে নালিশও করেছেন। একটি দাবিপত্রও তুলে দিয়েছেন। তিনি জানান, "ঘর ছাড়াদের নিরাপদে ঘরে ফেরানোর আর্জি রাজ্যপালের কাছে জানানো হয়েছে। উনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। রাজ্যপাল জানিয়েছেন, আইন কারোর ঊর্ধে নয়।" দাবি বার্লার।
'কবে যাচ্ছেন দিল্লি?' সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বার্লা জানান, "সময়মতো জানানো হবে। অন্যদিকে কুমারগ্রামের বিধায়ক মনোজ ওঁরাও জানান, তার নির্বাচনী এলাকায় একের পর এক পঞ্চায়েতের সদস্যদের হুমকি দিচ্ছে পুলিশ। আজ তিনজন নির্বাচিত সদস্যের কোনো খোঁজ মিলছে না। এবিষয়ে রাজ্যপালের কাছে জানানো হয়েছে।
বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Election 2021) ফলপ্রকাশ হয়েছে গত ২ মে। তবে জুনের শেষেও ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়েই তপ্ত বাংলার রাজনীতি। এবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করে এই ইস্যুতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে নালিশ জানালেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা। তবে পৃথক উত্তরবঙ্গ রাজ্য নিয়ে দু’জনের কোনও কথা হয়নি বলেই দাবি সাংসদের।