এদিন সকালের জলখাবারে ছিল চিড়ে-গুড় আর রাতের খাবারে রয়েছে ডিম-ভাত। পরনের শাড়ি সব পৌঁছে দেওয়া হয়েছে । এতে খানিকটা হলেও চিন্তা মুক্ত হতে পেরেছেন দুর্গতরা। রবিবার দ্বিতীয় দফার ঝড়ের দাপটে কার্যত লন্ডভন্ড জলপাইগুড়ি শহর। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় বহু বাড়ি, ছাদ হারা হয়েছেন মানুষ।
আরও পড়ুন: জলপাইগুড়ির ঝড়ে প্রাণ ঝরেছে ৫, উত্তরবঙ্গে লাগাতার ঝড়-বৃষ্টির সতর্কতা! জানুন আবহাওয়ার বড় খবর
advertisement
এমনকী এখনও অবধি বিদ্যুৎ-সংযোগ ছিন্ন হয়ে রয়েছে জলপাইগুড়ির বহু জায়গায়। তবে দুর্গত মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছে প্রশাসন। থাকা খাওয়ার যাতে কোনও অসুবিধা না হয় তার জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন। গতকাল মধ্যরাতে জলপাইগুড়ি শহরের বিপর্যস্ত জায়গাগুলিতে পৌঁছে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে তিনি আহত এবং নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। নির্বাচনী নিয়ম-কানুন মেনে ক্ষতিপূরণের আশ্বাসও দেন তিনি।
আরও পড়ুন: শাহি এই পদ ছাড়া ইফতার জমে না, হালিম খেলে শরীরে কী হয় জানেন? জানুন কলকাতার সেরা হালিমের ঠিকানা
পাশাপাশি, ঝড়ের কবলে মাথার ছাদ চলে যাওয়া পরিবারের পাশে থাকারও আশ্বাস নেন। তিনি জানান, যতদিন পর্যন্ত না নতুন ঘর তৈরি হচ্ছে ততদিন প্রান শিবিরে থাকলে থাকা খাওয়ার সমস্যা হবে না। সেই অনুযায়ী সোমবার থেকেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে জোরকদমে।
শুধু তাই নয়, পানীয় জল থেকে শুরু করে শুকনো খাবার এবং বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রীও পৌঁছে দিচ্ছে রাজ্য সরকার। থাকার ব্যবস্থাও করা হয়েছে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন ক্যাম্পগুলিতে। যদিও এ বিষয় নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কিন্তু আক্রমণ করতে ছাড়লেন না রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
সুরজিৎ দে





