স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালের ভয়াবহ বন্যায় এই সেতুর একটি অংশ ভেঙে পড়ে। সেই সময় থেকেই যানবাহন ও সাধারণ মানুষের চলাচল পুরোপুরি বন্ধ ছিল। চলতি বছরে আবার বন্যার জেরে সেতুর আরও কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর দীর্ঘদিন ধরেই এলাকাবাসী নতুন সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রশাসনের উদ্যোগে পুরনো সেতুটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নতুন সেতু নির্মাণের পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই মঙ্গলবার একটি বড় পোকলেন মেশিন সেতুর ওপর তুলে ভাঙার কাজ শুরু হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: শীতের ছুটিতে ক্যারাটের মাস্টারক্লাস, নিউ দিঘায় মেগা ইভেন্ট! জাপানি ট্রেনাররা দিল বিশেষ প্রশিক্ষণ
কিন্তু কাজ চলাকালীন হঠাৎ করেই সেতুর আরেকটি অংশ ভেঙে যায় এবং ভারী পোকলেনটি সরাসরি নদীতে পড়ে যায়। এতে পোকলেন অপারেটর গুরুতরভাবে আহত হন। দুর্ঘটনার সময় নদীর ধারে উপস্থিত স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত আহত অপারেটরকে উদ্ধার করে পোকলেন থেকে বের করেন এবং তাঁকে সুলকাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে যান। ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, প্রশাসনের তরফে আগে থেকেই সেতুর ওপর টোটো চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়নি। স্থানীয়দের একাংশের মতে, এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ারের গুরুতর গাফিলতি রয়েছে বলে অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্র আরও জানিয়েছে, এই লোহার সেতুটি ১৯১৫ সালে কুচি ডায়না নদীর ওপর নির্মিত হয়েছিল। এলাকাবাসীর কাছে এটি ‘লাল সেতু’ নামেই পরিচিত। এই সেতু দিয়েই নাগরাকাটা, চেংমারি এবং ভুটানের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপিত হত, যা কার্যত একটি গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক রোড হিসেবে ব্যবহৃত হত। অন্যদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন লোক নির্মাণ দফতরের আধিকারিকরা এবং নাগরাকাটা থানার পুলিশ। নদীতে জলস্তর কম থাকায় বড়সড় বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব হয়েছে। এছাড়া দুর্ঘটনার সময় সেতুর নিচে কোনও শ্রমিক কাজ করছিলেন না। ফলে কোনও প্রাণহানির ঘটনা সামনে আসেনি।
