জাল সার্টিফিকেট কাণ্ডে এমন চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওদলাবাড়িতে। ওদলাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মৌমিতা ঘোষের স্বাক্ষর ও অফিসের সীলমোহর জাল করে একাধিক ওয়ারিশ শংসাপত্র জারি করার ঘটনা সামনে আসতেই উত্তেজনা শুরু হয় পঞ্চায়েত অন্দরে। আর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াতেই ইতিমধ্যে মাল থানার পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে।
advertisement
জলপাইগুড়ির ওই গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৫ অগাস্ট দক্ষিণ ওদলাবাড়ির কয়েকজন বাসিন্দার নামে মোট ছটি ওয়ারিশ শংসাপত্র জারি করা হয়। শুক্রবার বিকেলে সেই শংসাপত্রগুলিতে মেমো নম্বর বসানোর জন্য সেগুলি নিয়ে আসা হলে অসঙ্গতি ধরা পড়ে। পঞ্চায়েত প্রধান মৌমিতা ঘোষ জানান, শংসাপত্রগুলির ফরম্যাট ও নথিভুক্ত তথ্য আসল নথির সঙ্গে মিলছে না। এমনকি প্রধানের নাম ও স্বাক্ষরও নকল করা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার পর তিনি মাল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ আলিউল ইসলাম নামে এক সাইবার ক্যাফে মালিক ও তার বন্ধু আনারুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। এদিকে, ঘটনায় নাম জড়িয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান সুশীল সরকারেরও। অভিযোগ প্রাক্তন উপ প্রধানকে ১৪০০০ টাকা দিয়েছিলেন এ কাজ করার জন্য। তবে জাল সার্টিফিকেট যে অভিযুক্তদের দেওয়া হবে তা জানতেন না তারা এমনটাই দাবি অভিযুক্তদের।
গ্রেফতার হওয়ার আগে আলিউল ইসলাম দাবি করেন, শংসাপত্রগুলি সুশীল সরকারই পঞ্চায়েত অফিস থেকে বের করেছিলেন এবং সেগুলি তিনি আনারুলের হাতে তুলে দেন। বর্তমানে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে মাল থানার পুলিশ। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই জালিয়াতি চক্র দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় ছিল এবং সাধারণ মানুষকে ঠকিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিল।