বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি বিশ্বরূপ চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ এই স্থগিতাদেশ জারি করেন। পাশাপাশি রাজ্য সরকার ও মামলাকারীদের হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে আদালত।
এ বিষয়ে জিটিএ আইনজীবী দিগেন লামা জানিয়েছেন, যেহেতু শিক্ষক শিক্ষিকারা প্রায় ১২ বছরেরও বেশি সময় ধরে কর্মরত সেহেতু এরা চাকরি হারা হলে পুরো সিস্টেমের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। সেক্ষেত্রে যথাযোগ্য সময় নেওয়া উচিত সঠিক বিচার দেওয়ার ক্ষেত্রে। আদালত এদিন ৩ মাসের জন্যে রায়দান স্থগিত রেখেছে। পরবর্তীতে ইতিবাচক রায়দান হবে বলেই আশাবাদী শিক্ষক-শিক্ষিকারা। পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষিকা সারিকা গুরুং জানিয়েছেন, আদালতের এদিনের রায়ে খানিক হলেও স্বস্তি মিলেছে। হাতে সময় পাওয়া গিয়েছে। তারা প্রত্যেকেই আদালতের বিচার ব্যবস্থার ওপর আশাবাদী।
advertisement
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে পাহাড়ে জিটিএ-র অধীনে কর্মরত ৩১৩ জন প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সংশ্লিষ্ট ৩১৩ জন শিক্ষক কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করেন। বুধবার সেই মামলার শুনানির পর ডিভিশন বেঞ্চ ১২ সপ্তাহের জন্য সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দেয়। ফলে আপাতত স্বস্তি পেলেন পাহাড়ের ওই ৩১৩ জন প্রাথমিক শিক্ষক।
