শনিবার সকালে পাশের মরাঘাট জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসে পূর্ণবয়স্ক বার্কিং ডিয়ার প্রজাতির হরিণটি। চা বাগানের শান্ত পরিবেশে হঠাৎ চার-পাঁচটি কুকুর তার পিছু নেয়। মুহূর্তের মধ্যে শুরু হয় ধাওয়া—কামড়ে মুখ রক্তাক্ত, ভয়ে আতঙ্কিত হরিণ প্রাণপণে ছুটতে ছুটতে আশ্রয় নেয় এক শ্রমিকের গোয়ালঘরে।
আরও পড়ুন: ভাবা যায়! ৪০ বছর পর বাড়িতে এল বিদ্যুৎ, তাও আবার পুলিশের মানবিক উদ্যোগে
advertisement
সেই সময় জলপাইগুড়ির ওই চা বাগানের শ্রমিকরা ছুটে এসে কুকুরগুলিকে তাড়িয়ে দেন এবং আহত হরিণটিকে নিরাপদে রাখেন। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় মরাঘাট রেঞ্জের বন দফতরে। কিছুক্ষণের মধ্যেই বনকর্মীরা এসে হরিণটিকে উদ্ধার করে গাড়িতে করে নিয়ে যান ধূপগুড়ি পশু হাসপাতালে, যেখানে শুরু হয় তার জরুরি চিকিৎসা।
আরও পড়ুন: বর্ষার ছোঁয়ায় ফিরেছে প্রাণ, দার্জিলিং অপরূপ! সিটং, তাগদায় পর্যটকদের ঢল, সুযোগ পেয়েও না গেলে বড় মিস
শ্রমিকদের একজন জানান, “আমরা সময়মতো সাহায্য না করলে হয়তো বাঁচানো যেত না ওকে।” বন দফতরের কর্মীরা জানিয়েছেন, হরিণটির অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল হলেও পুরোপুরি সুস্থ হতে সময় লাগবে।
গয়েরকাটা চা বাগানের মানুষজনের কাছে এ ঘটনা শুধুমাত্র একটি প্রাণ বাঁচানোর গল্প নয়—এ যেন প্রকৃতি ও মানুষের সহমর্মিতার জীবন্ত প্রমাণ, যা মনে করিয়ে দেয় বন্যপ্রাণ রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সবার।