এই বছর রেকর্ড আলু উৎপাদন হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলায়। ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। উৎপাদিত আলুর পরিমান প্রায় ১০ লক্ষ মেট্রিকটন। জেলার ২৭টি হিমঘরে চার লক্ষ চল্লিশ হাজার মেট্রিকটন আলু সংরক্ষণ করা হয়েছে। কৃষি বিপনন দফতরের হিসেবে ইতিমধ্যেই ৩৫ শতাংশ আলু বাজারে চলে এসেছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে থাকায় সেই অর্থে দাম বাড়েনি। কৃষকদের কাছ থেকে এই বছর আলু কিনেছে সরকার। সেই আলু সুফল বাংলার মাধ্যমে ন্যায্য মূল্যে সরবরাহ করা হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বাড়ির সামনে খেলছিল কিশোর, আচমকা ঝাঁপিয়ে পড়ল…! চিৎকার শুনে গ্রামবাসীরা ছুটে এলেও শেষরক্ষা হল না
এবার মিড ডে মিলে খরচের বোঝা কিছুটা লাঘব করতে কৃষকদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে কিনে নেওয়া সেই আলু সরাসরি মিড ডে মিলের জন্য সরবরাহের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। সোমবার থেকে আলু পৌঁছে যাবে প্রতিটি স্কুলে। পাহাড়ে চাহিদা থাকায় সরবরাহ করা হচ্ছে হল্যান্ড প্রজাতির লাল আলু। একই সঙ্গে সংশোধনাগার এবং হাসপাতালে সরকারি ভাবে আলু সরবরাহের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
এই বছর রোপণ থেকে আলু তোলা পর্যন্ত নজরদারি বাড়ানোয় ফড়েরা সেই অর্থে মাথা চাড়া দিতে পারেনি। ফলে আলুর বাজার দর মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যে। ১৫ থেকে ২০ টাকার মধ্যে ওঠা নামা করছে আলুর কেজি প্রতি দর। এবার জমা আলু ধাপে ধাপে বাজারে চলে এলে ছোট কৃষকরা খানিকটা লাভবান হবেন। পাশাপাশি মিড ডে মিলের মতো সরকারি প্রকল্প চালাতেও অনেকটাই সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।