স্টেশন ভবনের প্রথম তলায় অবস্থিত রিটায়ারিং রুম কমপ্লেক্সটি এখন রেলওয়ে যাত্রীদের থাকার অভিজ্ঞতা অনেক উন্নতমানের করে দিচ্ছে। এই আবাসনে ৯টি রিটায়ারিং রুম রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ৭টি টু-বেডেড এবং ২টি ফাইভ-বেডেড রুম, সঙ্গে একটি ১২ শয্যার ডরমিটরি রয়েছে। আপগ্রেডেশন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে, সমস্ত রুম সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ইউনিটে রূপান্তরিত করা হয়েছে এবং সেগুলিতে আরও আরামদায়ক বিছানাও উন্নত অভ্যন্তরীণ সজ্জার ব্যবস্থা করা হয়েছে, যাতে রেলযাত্রীরা তাঁদের যাত্রার সময় একটি আধুনিক, পরিষ্কার এবং সুবিধাজনক পরিবেশে আনন্দ উপভোগ করতে পারেন।
advertisement
আরও পড়ুন: শনিবার বাংলাদেশে শোকদিবস, হাদির পরিবারের দায়িত্ব নিল আইনশৃঙ্খলায় চূড়ান্ত ব্যর্থ ইউনূস সরকার
এই পদক্ষেপটি রেলওয়ের জন্য নন-ফেয়ার রাজস্ব অর্জনে একটি উল্লেখযোগ্য উন্নতি। নতুন এই ব্যবস্থার অধীনে, উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে আগামী পাঁচ বছরের চুক্তির মেয়াদে ১.৯৪ কোটি টাকা আয় করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, এই ক্ষেত্রে রক্ষণাবেক্ষণ, পরিচালনা বা মেরামতের জন্য রেলওয়ের কোনও ব্যয় বহন করতে হবে না। এটি পূর্ববর্তী ইন-হাউস ম্যানেজমেন্ট মডেলের তুলনায় একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি, যেখানেবার-বার পরিচালন ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছিল এবং নেট আয় কম হচ্ছিল।
আরও পড়ুন: শীতের আমেজে সামান্য টান, উইকেন্ডে ফুরফুরে হাওয়া উধাও! জাঁকিয়ে ঠান্ডা কবে থেকে? জানুন ওয়েদার আপডেট
এই উন্নত সুযোগ সুবিধাগুলি ভারতীয় রেলওয়ের বৃহত্তর আধুনিকীকরণ লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, রেলওয়ের সম্পদ সমূহের সঠিক ব্যবহার এবং স্থায়ী রাজস্ব বৃদ্ধির মাধ্যমে উন্নত যাত্রী পরিষেবা প্রদানে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের ধারাবাহিক মনোযোগকে প্রতিফলিত করে। এই উন্নয়নগুলি দক্ষতার সঙ্গে অর্জন করার জন্য, রিটায়ারিং রুম এবং ডরমিটরির পরিষেবাগুলি আউটসোর্স করা হয়েছে এবং একটি ওপেন টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মেরামত, আধুনিকীকরণ, ম্যানেজমেন্ট ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। চুক্তিটি পাঁচ বছরের জন্য প্রদানকরা হয়েছে। সমস্ত মেরামতের কাজ রেলওয়ের কোনো খরচ ছাড়াই সম্পন্ন করা হয়েছে এবং সম্পূর্ণ পরিচালনার দায়িত্ব পরিষেবা প্রদানকারীর উপর ন্যস্ত থাকবে।
আবীর ঘোষাল
