ক্রমবর্ধমান যাত্রী চাহিদা এবং অঞ্চলজুড়ে মালবাহী পরিবহনের ধারাবাহিক বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে, রেল লাইনের ক্ষমতা বৃদ্ধি অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। অনুমোদিত সার্ভেটি এই চাহিদাগুলি মূল্যায়ন করতে এবং প্রস্তাবিত দ্বৈত লাইনের কাজের কার্যকর পরিকল্পনাতে সহায়তা করবে। এই প্রকল্পটির দ্বারা অঞ্চলজুড়ে রেলওয়ের পরিবহণ ক্ষমতার উন্নয়ন, সুগম ট্রেন চলাচল, স্থানীয় সাপ্লাই চেইন শক্তিশালী এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
advertisement
ফাইনেল লোকেশন সার্ভেতে ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য, ব্রিজ, টানেল, জমির অবস্থা এবং অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারিং দিকগুলির বিশদ পরীক্ষা অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এই অনুসন্ধানের ভিত্তিতে, একটি বিস্তৃত প্রতিবেদন তৈরি করা হবে এবং আরও বিবেচনা এবং অনুমোদনের জন্য রেল মন্ত্রকে জমা দেওয়া হবে। এই সার্ভে পরিকল্পিত দ্বৈতকরণ কাজের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতিমূলক পর্যায়, যার লক্ষ্য যাত্রী এবং মালবাহী উভয় ট্রেনের চলাচল সুগম এবং দ্রুততর করা।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মা জানিয়েছেন, রেলওয়ে পরিকাঠামো শক্তিশালীকরণ, ভবিষ্যৎমুখী উদ্যোগ গ্রহণ এবং জনসাধারণের জন্য রেল পরিষেবার সুরক্ষা, দক্ষতা এবং সামগ্রিক মান বৃদ্ধির জন্য এই ধরনের সার্ভে এবং গবেষণা চালিয়ে যাবে। নিউ কোচবিহার-অভয়াপুরী রেললাইনটি উত্তরবঙ্গ এবং আসামের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ রেল করিডর। এই রুটে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের চাহিদা বাড়ছে, তাই রেললাইন সম্প্রসারণের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। সম্প্রতি, এই লাইনের সম্প্রসারণের জন্য চূড়ান্ত অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে, যা এই রুটের রেল পরিকাঠামোকে শক্তিশালী করবে বলে জানিয়েছেন রেল মন্ত্রকের এক শীর্ষ আধিকারিক।
