মায়ের চোখের জল মুছে, পিতার বুকে পাথর চাপিয়ে মনোরঞ্জন যখন রওনা হল, তখন গোটা গ্রাম যেন গর্ব আর আবেগে একসঙ্গে কেঁদে ফেলল। যুদ্ধের ছায়া যখন দেশজুড়ে, তখন ছেলেকে সেনাবাহিনীতে পাঠিয়ে গর্বে চোখ টলটল করছে কৃষক বাবা ও গৃহবধূ মায়ের।মনোরঞ্জনের বাবা বলেন, “এটাই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় গর্ব। দেশরক্ষার কাজে আমার ছেলে যোগ দিচ্ছে, বুকটা ভরে উঠছে।”
advertisement
আরও পড়ুন: চণ্ডীগড়ে বাজল এয়ার সাইরেন, যে কোনও মুহূর্তে পাকিস্তানের হামলার আশঙ্কা! সতর্ক করল IAF
সকাল হতেই গ্রামের কাঁচা রাস্তা ধরে লাল গাড়িটা যখন বেরিয়ে গেল, তখন পিছনে শত শত হাত উঠল আশীর্বাদের ভঙ্গিতে। পিছনে পড়ে রইল কিছু চোখের জল, কিছু গর্বের হাসি। গ্রামের এক প্রবীণ বাসিন্দা বলেন, “মনোরঞ্জন আমাদের গর্ব। আজ ওর মতো ছেলে থাকায় আমরা নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারি।”
যুদ্ধের আশঙ্কার এই সময়ে মনোরঞ্জনের মতো তরুণরা দেশরক্ষার কাজে নিজেদের উৎসর্গ করছেন– এটাই ভারতীয় আত্মার আসল পরিচয়। মনোরঞ্জনের যাত্রা শুধু একজন তরুণের সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়া নয়, বরং একটি গোটা গ্রামের গর্ব, ভালবাসা আর দেশভক্তির প্রতীক হয়ে উঠেছে।
সুরজিৎ দে