বিগত কয়েক বছর ধরেই জমজমাটভাবে দুর্গাপুজো ও কালীপুজোর পর শিলিগুড়িতে পালিত হচ্ছে জগদ্ধাত্রী পুজো। আর এই ধারাবাহিকতায় চতুর্থ বর্ষে এসে সুভাষপল্লী জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটি তুলে ধরেছে এক অনন্য থিম—“নৈহাটির বড়মার মন্দির”। মূল ভাবনা, যাদের পক্ষে নৈহাটিতে গিয়ে দর্শন করা সম্ভব নয়, তারা যেন শহরেই সেই পবিত্র পরিবেশে মাতৃদর্শনের সুযোগ পান।
advertisement
এই কারণেই ফ্রিজে বরফ জমে; সহজ কৌশল কাজে লাগিয়ে মুহূর্তের মধ্যে বরফ গলিয়ে নিন, দেখে নিন কী করতে হবে!
ট্যাঙ্কের জলে পুরু ময়লার আস্তরণ…দুর্গন্ধ? ৫ মিনিটে সাফ করুন, ঝকঝকে ‘জলাধার’ নিমেষে!
তবে শুধু থিম নয়, উদ্বোধনেও দেখা গেল ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগ। প্রতিবছরের মতো কোনও সেলিব্রিটি বা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নয়, এ বছর পুজোর উদ্বোধন করলেন ভিমবার সেবাশ্রম দৃষ্টিহীন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা। মণ্ডপের দরজা খুলে যায় তাদের হাত ধরেই। এক দৃষ্টিহীন ব্যক্তির কথায়— “আমরা চোখে দেখতে পাই না, কিন্তু মা’কে অনুভব করতে পারি মন দিয়ে। আজ এত বড় পুজোর উদ্বোধন করতে পারব ভাবতেই পারিনি। মনে হচ্ছে, মা যেন আমাদের আশীর্বাদ করছেন।”
কমিটির সদস্যদের বক্তব্য, সমাজের সকল স্তরের মানুষকে পুজোর আনন্দে সামিল করাই তাদের উদ্দেশ্য। “এই দৃষ্টিহীন ছাত্রছাত্রীরা সমাজের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাদের মুখে হাসি ফোটাতেই আমরা চাইছিলাম এ বছর পুজোর সূচনা হোক তাদের হাতেই,” জানালেন পুজো কমিটির সম্পাদক রাজু সেনগুপ্ত।
নৈহাটির বড়মার আদলে তৈরি এই মন্দিরে রয়েছে মনোমুগ্ধকর আলোকসজ্জা, রাজকীয় মূর্তি এবং বিশদ অলঙ্করণ। সন্ধ্যা নামতেই দর্শনার্থীদের ভিড় জমছে মণ্ডপে। পাশাপাশি পুজোর দিনগুলোয় থাকছে একাধিক সামাজিক উদ্যোগ—প্রসাদ বিতরণ থেকে বস্ত্রদান, সবই কমিটির আয়োজনে।
এ যেন কেবল এক পুজো নয়, মানবিকতার আলোয় উজ্জ্বল এক সামাজিক বার্তা। সুভাষপল্লীর এই জগদ্ধাত্রী পুজো তাই শুধু থিমের জন্য নয়, ভাবনার দিক থেকেও এ বছরের অন্যতম আলোচ্য হয়ে উঠেছে।