আরও পড়ুন- বাবা-ছেলের বিলাসবহুল জীবন দেখে মাথা ঘুরে যেত সবার! এবার ফাঁস তাদের ‘গোপন’ রোজগার…!
যদিও মালদা মেডিক্যাল কলেজের সুপার প্রসেনজিৎ বর দাবি করেছেন, যে ওষুধ পাওয়া গিয়েছে তা সরকারি সরবরাহের নয়। তা বাইরের ওষুধ। নিরাপত্তারক্ষীরা এক ব্যক্তিকে ওষুধ বিক্রি করতে দেখেন। নিরাপত্তারক্ষীরা ধরতে গেলে ওই ব্যক্তি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযোগের ভিত্তিতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর জি কর ঘটনার পর রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজে নানা বেআইনি কারবারের অভিযোগ উঠেছে। এই তালিকায় এবার যুক্ত হল মালদা মেডিকেল কলেজ চত্বরে বহিরাগতের ওষুধ বিক্রির অভিযোগ।
advertisement
আপাতত ছবি দেখে ওই বহিরাগতকে চিহ্নিত করার চেষ্টা শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি হাসপাতালের কোনও কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সাধারণত হাসপাতাল চত্বরে সরকারি অনুমোদিত কাউন্টার ছাড়া কোনওভাবেই ওষুধ বিক্রি হওয়ার কথা নয়। কিন্তু, এক্ষেত্রে দেখা যায় হাসপাতালে রোগীর আত্মীয়দের বসার জায়গার কাছেই রোগীর আত্মীয়দের কাছে ওষুধের হাত বদল করা হচ্ছে। বিষয়টি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় সঙ্গে সঙ্গেই নিরাপত্তা রক্ষীরা বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। বেগতিক দেখে পালায় অভিযুক্ত।
অনেক ক্ষেত্রেই দূরদূরান্তের রোগীর পরিবারের লোকজন হাসপাতালে ওষুধ কেনার জন্য বাইরের বিভিন্ন দোকানের ওপর নির্ভর করেন। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে হাসপাতালের ভেতরেই বহিরাগত দালাল চক্র ওষুধ বিক্রিতে সক্রিয়, এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তবে, এইসব অপরিচিত বা বহিরাগতরা যেসব ওষুধ বিক্রি বা হাত বদল করছেন তার গুনাগুন নিয়েও সন্দেহ অমূলক নয়। বিল বা রশিদ ছাড়া এরকম ওষুধের হাত বদল বিপজ্জনক বলেও মনের করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।