হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, করোনা আক্রমনের আগে হাসপাতালের বর্হিবিভাগে রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন ১০০০ থেকে ১২০০ হত। লকডাউনের পর থেকে সেই বর্হিবিভাগে রোগীর সংখ্যা কমে হয়েছে ৪০০ থেকে ৫০০। যে রোগী নিরুপায় হয়ে হাসপাতালের বর্হিবিভাগে চিকিৎসা করাতে আসছেন তাদের অধিকাংশই হাসপাতালে ভর্তি হতে চাচ্ছেন না। রায়গঞ্জ গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল হবার পর হাসপাতালের বেডের সংখ্যা হয়েছে ৪৯৩। শুধুমাত্র প্রসূতি বিভাগ ছাড়া অধিকাংশ বিভাগের রোগীর সংখ্যা খুবই কম। হাসপাতালে সহকারি সুপার অভিক মাইতি জানিয়েছেন, বর্তমানে হাসপাতালে ২৪৬ জন রোগী ভর্তি আছেন। যাদের মধ্যে অধিকাংশই প্রসূতি বিভাগে। সহকারি সুপার জানান, হাসপাতালের বর্হিবিভাগে রোগীরা কম আসছেন। আর যারা নিরুপায় হয়ে আসছেন তাদের অধিকাংশই হাসপাতালে ভর্তি হতে আপত্তি জানাচ্ছেন। ফলে চিকিৎসকরাও রোগীর আপত্তিতে হাসপাতালে রোগী ভর্তির সুপারিশ করছেন না। ফলে হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা দিন দিন কমছে।
advertisement
স্বেচ্ছাসেবি সংগঠনের কার্যকর্তা কৌশিক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, লকডাউনের পর থেকেই গ্রামগঞ্জের রোগীরা করোনার ভয়ে হাসপাতাল মুখী হতে চাইছেন না। বিনা চিকিৎসায় মানুষ মারা না যান তার জন্য তারা গ্রামগঞ্জে প্রচার চালাচ্ছেন। করোনা বিরুদ্ধে লড়ে করোনাকে জয় করতে হবে। এভাবেই তারা গ্রামগঞ্জে প্রচার চালাচ্ছেন।তাতেও গ্রামগঞ্জের মানুষকে খুব বেশী সচেতন করা সম্ভব হয় নি।