বালুরঘাট শহর তীরবর্তী গোবিন্দপুর এলাকার বাসিন্দা চন্দন মজুমদার প্রায় ৩৫ বছর ধরে এই শোলা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। শোলার তৈরি টোপর ছাড়াও রকমারি জিনিস তৈরি করেই নিজেদের রুজি রোজগার চলে তাঁর। নাওয়াখাওয়া ভুলে দিনরাত এক করে চলে মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানে শোলার টোপর তৈরির কাজ। এমনকি নিজস্ব জেলাতেই নয়, ভিন রাজ্যেও এই শোলার টোপর বিক্রি হয়। টোপরের উপরে শোলা, পুথি, অভ্রের গুঁড়ো দিয়ে তাঁরা বিভিন্ন নকশার টোপর তৈরি করেন। যত গুড় তত মিষ্টির মতই। টোপরে কারুকাজ যত বাড়বে, পাল্লা দিয়ে বাড়বে দামও। দেড়শো টাকা থেকে শুরু। নকশা অনুযায়ী শোলার টোপরের দাম পনেরোশো, দু’হাজার টাকা পর্যন্ত হয়। সুক্ষ্ম কাজের জন্য দামও হয় বেশি।
advertisement
আরও পড়ুন: ডিমের ঝোল, পাঁপড় ভাজা…! কার হাতে কেমন যাদু! পরখ করতে মিড ডে মিলের রাঁধুনিদের প্রতিযোগিতা
এবিষয়ে শোলা শিল্পী চন্দন মজুমদার জানান, “পুরুষদের পাশাপাশি এখন বাড়ির মেয়ে বউরাও টোপর তৈরিতে হাত লাগান। বিয়ের মরসুমের চাহিদাও থাকে বেশ ভালই। তাই দিন রাত পরিশ্রম করে তারা তৈরি করেন রকমারি নকশার টোপর।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
শোলা শিল্পীদের পক্ষ থেকে জানা যায়, শোলা চাষের জন্য যে ধরনের জলাভূমির প্রয়োজন সেই ধরনের জলাভূমি ধীরে ধীরে হারিয়ে যাওয়ার কারণে ভাল শোলা পাওয়া যাচ্ছে না বললেই চলে। ফলস্বরূপ, ভিন জেলা থেকে শোলা নিয়ে আসতে হচ্ছে অতিরিক্ত মূল্য দিয়ে। তবে চাহিদা বেশি থাকায় ভিন রাজ্য থেকে শোলা নিয়ে আসার ফলে খরচ পড়ছে দ্বিগুণের থেকেও বেশি।
এই শিল্পের উপর নির্ভর করে দীর্ঘদিন ধরে সংসার অতিবাহিত করে আসছে চন্দন বাবুর মত এলাকার বহু পরিবার। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পুরোনো ঐতিহ্যে ফিরতে চাইছে সাধারণ মানুষ। তাই শোলার তৈরি জিনিসের চাহিদা একদিকে যেমন বাড়ছে অপরদিকে দাম সেভাবে না পাওয়ায় সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে এ সমস্ত পরিবারগুলির।
সুস্মিতা গোস্বামী





