শিলিগুড়ি শহরের বাগরাকোট এলাকায় ১ নং মাতঙ্গিনী হাজরা কলোনিতে মাত্র ২০ টাকা প্রতিদিন হিসেবে থাকেন বহু কর্মজীবী লোকজন। শিলিগুড়ি বাসিন্দা মহেন্দ্র সরকার প্রায় ৪০ বছর আগে কুলির কাজ করতেন তারপর রিকশাও চালিয়েছেন। কাজ করতে করতেই তার মাথায় বুদ্ধি আসে তাঁর মতো বহু লোক, যারা রিকশা চালায় বা কুলি তাঁরা বাইরে থেকে এসে স্টেশনেই রাত্রিযাপন করেন। তারপরই তিনি তাঁর বাড়িকে টিন দিয়ে ঘিরে দোতলা কাঠের ঘরকে নৈশযাপনের স্থান হিসেবে রূপান্তরিত করেন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ সৌমিত্র অতীত! দ্বিতীয় বিয়ের দিনক্ষণ চূড়ান্ত, কেমন সাজবেন সুজাতা? মেনুতেও বিরাট চমক!
কাঠের সিঁড়ি দিয়ে উঠে দোতলা বাড়িতে ঢালাও বিছানা, লাইট, ফ্যান সবই আছে, আছে মোবাইল চার্জার পয়েন্ট। সবটার খরচ একদিনে মাত্র ২০ টাকা। মহেন্দ্র জানিয়েছেন, মাত্র ২০ টাকার বিনিময়ে থাকার জায়গা, বাথরুম, মোবাইল চার্জার পয়েন্ট থেকে শুরু করে, স্নান করার জায়গা সবটাই রয়েছে তাঁর হোটেলে। এমনকি খাওয়ার জন্য হোটেলও রয়েছে। অত্যন্ত সস্তায় সেই হোটেলে খাবারও পাওয়া যায়।
মহেন্দ্র আরও বলেন, "শিলিগুড়ি শহরে কাজ করতে আসা বহু রিকশা চালক, টোটো চালক, মজদুর এখানে থাকেন। প্রতিদিন তেমন ভিড় না হলেও পুজোর সময় বা কোনও অনুষ্ঠানের সময় ভিড়ে ঠাসা থাকে তার ওই জায়গা।"
মহেন্দ্রর ছেলে নারায়ণ সরকার বলেন, "প্রত্যেকেই রাত্রিযাপন করে সকালে উঠে স্নান করে, খেয়ে কাজে বেরিয়ে যান। কাজ শেষে আবার ফিরে আসেন। মোট ১৫ জনের মতো থাকার জায়গা রয়েছে তাঁর আবাসে।" তিনি আরও জানান, তাঁদের দেখাদেখি এখন আশপাশের আরও কিছু বাড়িতে এমন রাত্রিযাপনের জায়গার ব্যবস্থা শুরু করেছেন। মাতঙ্গিনী হাজরা কলোনিতে এখন বহু লোক ২০ টাকায় বাড়ি ভাড়া করে থাকেন।
অনির্বাণ রায়