প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ওই গ্রামের বাসিন্দা পেশায় দিনমজুর বরেন রায়। তাঁর দুই মেয়ের মধ্যে বড় জন দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়া। বাবা গিয়েছিলেন জমিতে কাজে। মা ছিলেন নিকট আত্মীয়ের বিয়েতে। ঠিক ছিল রাতে পরিবারশুদ্ধ বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। কিন্তু, বাড়ি ফিরে এমন ঘটনার সাক্ষী হতে হবে তা ভাবেননি বাবা- মা কেউই।
advertisement
পরিবারের দাবি, সংসারে কোনও সমস্যা ছিল না। নিজের সামান্য উপার্জনের মধ্যেই মেয়েদের যথাসম্ভব আবদার পূরণ করতেন বাবা। হঠাৎ করে পরিবারে এমন ঘটনা সকলকে কার্যত হতভম্ব করে দিয়েছে।
বাবা বরেন রায় বলেন, "সকালে কাজে যাওয়ার সময় মেয়ে নিজে খেতে দিয়েছিল। নিজেদের মধ্যে সাধারণ কথাবার্তাও হয়েছিল আর পাঁচদিনের মতো। এরপর আমি কাজে চলে যাই। স্ত্রী বিয়ের অনুষ্ঠানে ব্যস্ত ছিলেন। মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে এমন বিষয়টি অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে। কখনও ওর মধ্যে কোনওরকম মানসিক চাপ বা অস্থিরতা লক্ষ্য করিনি। কেন এমন ঘটনা? আমরা চাই পুলিশ তার তদন্ত করুক। কারও প্ররোচনা থাকলে তাও উঠে আসুক।"
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পারিবারিক মোবাইল ফোন খতিয়ে দেখা হবে। কোনও কারণে ওই ছাত্রী মানসিক চাপে ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আত্মত্যার পিছনে কারও কোনরকম প্ররোচনা থাকলে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।