আপাতত এই রুট ধরেই উড়বে হেলিকপ্টার বলে জেলা প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে। রাজ্যের পরিবহন দফতরের উদ্যোগে হেলিকপ্টার পরিষেবা চালু হচ্ছে। মঙ্গলবার পরীক্ষামূলকভাবে হেলিকপ্টার বাগডোগরা থেকে এই রুট ধরে ওঠানামা করে। তবে কবে থেকে পরিষেবা চালু হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। হেলিকপ্টার পরিষেবা চালু হলে বাড়বে পর্যটনের প্রসার। আশাবাদী সব পক্ষই। মূলত পাহাড়ের পর্যটনের প্রসারেই রাজ্যের এই ভাবনা।
advertisement
মিরিকের মহকুমা শাসক সুদীপ্ত দেবনাথ জানান, পর্যটনের প্রসারেই রাজ্যের এই উদ্যোগ। আজ পরীক্ষামূলকভাবে হেলিকপ্টার নেমেছিল। হেলিপ্যাডের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেন উড়ান সংস্থা। ভাড়া এবং পরিষেবা কবে চালু হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। পরিবহন দফতর চাইলে পরিষেবা দ্রুত চালু হবে।
মিরিক পুরসভার চেয়ারম্যান লালবাহাদুর রাইও বলেন, পরিষেবা চালু হলে পর্যটকদের কাছে আরও গুরুত্ব বাড়বে পাহাড়ি এই শহরের। স্বাভাবিকভাবেই এলাকার আর্থ সামাজিক ব্যবস্থারও উন্নয়ন হবে। আর পরিষেবা চালু হলে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা কয়েকগুন বাড়বে বলে জানান পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন, নাম বাদ গেলে গুলি করব! আবাস যোজনার স্কুটিনিতে নেমে হুমকির মুখে আশাকর্মীরা
পর্যটন ব্যবসায়ী দেবাশীষ মৈত্র জানান, এটা পাহাড়ের পর্যটনে নয়া পালক। রাজ্যের এহেন উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ। পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িতরাও খুশি হবেন। কোভিড, লকডাউন কাটিয়ে ২ বছর পর ফের মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে পাহাড়ের পর্যটন। মিরিক এবং কালিম্পংয়ের সঙ্গে জুড়ছে রেল পরিষেবা। হেলিকপ্টার পরিষেবা চালু হলে পাহাড়ের পর্যটনের মুকুটে নতুন পালক জুড়বে বলে আশায় পর্যটন মহল।
আরও পড়ুন, বেআইনি নির্মাণে 'নষ্ট' জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির একাধিক অংশ, মত হেরিটেজ কমিটির সদস্যদের
৩১ বছর পর এদিন হেলিকপ্টার নামল মিরিকে। ১৯৯১ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আর ভেঙ্কটরমন এক সরকারি সফরে মিরিকে এসেছিলেন। তারপর মঙ্গলবার মিরিকের আকাশে দেখা মিলল হেলিকপ্টারের।