এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক জয় বসাক বলেন, ‘‘ আমি একটি পত্রিকায় পড়েছিলাম যে ইন্দোনেশিয়ার প্রত্যেকটি বিদ্যালয়ের এই ধরনের অনুষ্ঠান করা হয় এবং ইন্দোনেশিয়াতে কোনও বৃদ্ধাশ্রম নেই। তার পর আমি সিদ্ধান্ত নিই যে আমাদের বিদ্যালয়েও এই ধরনের অনুষ্ঠান করব। প্রতিবছর আমরা এ ধরণের অনুষ্ঠান করব।’’
আরও পড়ুন : শত সাবধানতাতেও তাপপ্রবাহে রক্ষে নেই! মৃত্যু হতে পারে ‘ওয়েট বাল্ব টেম্পারেচার’-এ!
advertisement
কমলা রায়, শ্যামলী বর্মণের মতো অভিভাবকরা বলেন, ‘‘ কোনওদিন ভাবতেই পারিনি যে আমাদের ছেলেমেয়েরা আমাদেরকে পূজা করবে৷ তবে স্কুল কর্তৃপক্ষের এই উদ্যোগে সেই সৌভাগ্য জুটল৷’’ প্রমিতা রায়, ভাস্কর রায়-সহ বেশ কয়েক জন পড়ুয়া বলে, ‘‘ আমরা খুব খুশি হয়েছি, আমরা মায়েদের পা জল দিয়ে ধুয়ে দিয়ে কাপড় দিয়ে মুছে তার পর পায়েস খাইয়েছি। মায়েরাও আমাদেরকে খাইয়েছেন, কোনওদিন এই ধরনের অনুষ্ঠান স্কুলে হয়নি।’’
আরও পড়ুন : আসছে ঘূর্ণিঝড় অশনি! উপকূলবর্তী অংশে কীভাবে চলছে মোকাবিলার প্রস্তুতি? দেখুন ছবি
ধূপগুড়ি নাগরিক মঞ্চের সদস্য অসীম পাল বলেন, ‘‘ জলপাইগুড়ি জেলায় এই প্রথম কোনও স্কুলে জন্মদাত্রীকে পূজার আয়োজন করা হল। যা বিরল ও খুব ভাল উদ্যোগ। আমরাও এই উদ্যোগে অংশগ্রহণ করেছিলাম এই অভিনব মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে।’’
আরও পড়ুন : উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এই তেলের জুড়ি নেই
ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক জয় বসাক বলেন, ‘‘আগামিকাল আন্তর্জাতিক মাতৃ দিবস৷ কিন্তু রবিবার স্কুলে অনুষ্ঠান করা সম্ভব নয়৷ অভিভাবকরা আসতে পারবেন না বলে অনেকে জানিয়েছেন। তাই শনিবার আমরা সেই দিনটির গুরুত্ব স্মরণ করেই মা পূজার আয়োজন করেছি।’’
( প্রতিবেদন : রকি চৌধুরী)