তাওয়াং পরিস্থিতির জেরে মঙ্গলবার দফায় দফায় বৈঠক করেছেন স্থলসেনা এবং বায়ুসেনার উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা। আর তার পরেই উত্তর-পূর্ব ভারত লাগোয়া অসমের তেজপুর, উত্তরবঙ্গের হাসিমারা-সহ গুরুত্বপূর্ণ বায়ুসেনা ঘাঁটিগুলিতে ‘চূড়ান্ত সতর্কতা’ জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অরুণাচলে ভারত-চিন সংঘর্ষ, এর পিছনেও নেহরু-রাজীবের হাত? কী বললেন শাহ!
অরুণাচল সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যেই সংসদে বিবৃতি দিয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং৷ ২০২০ সালের গালওয়ান-কাণ্ডের মতো প্রাণহানি না ঘটলেও গত ৯ ডিসেম্বর রাতের সংঘর্ষের ঘটনায় দু’পক্ষেরই বেশ কয়েক জন সেনা আহত হয়েছেন। তবে প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, কোনও ভারতীয় সেনার আঘাত গুরুতর নয়। গালওয়ানের মতোই তাওয়াংয়েও দ্বিপাক্ষিক সেনাস্তরের ‘রুল অব এনগেজমেন্ট’ মেনে কোনও পক্ষ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেনি।
advertisement
অরুণাচল সীমান্ত বলেই শুধু নয়, চিন লাগোয়া প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর মোতায়েন করা হয়েছে একাধিক যুদ্ধবিমান। সূত্রের খবর অনুযায়ী, অসমের তেজপুর, ছাবুয়ায় সুখোই-৩০ বিমান মোতায়েন করা হয়েছে। গোটা অসম সীমান্তেই মোতায়েন এস-৪০০।
আরও পড়ুন: বাধা পেয়ে পিছু হঠে চিনা বাহিনী, ভারতীয় জওয়ানদের আঘাত গুরুতর নয় ! সংসদে জানালেন রাজনাথ
উত্তরবঙ্গের হাসিমারা বায়ুসেনা ছাউনি খুব গুরুত্বপূর্ণ। ভারত-চিনের মধ্যে সীমান্ত এলাকার কাছেই বেশ গুরুত্বপূর্ণ হাসিমারা বিমান ঘাঁটি। তাদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।সূত্রের খবর, গত শুক্রবার রাতে প্রায় ৩০০ চিনা সেনা তাদের থাং লা শিবির থেকে ইয়াংৎসে নদী পার হয়ে তাওয়াং সেক্টরে অনুপ্রবেশ করে ভারতের একটি সেনা শিবিরে চড়াও হয়। কিন্তু তার আগের দিন থেকেই উত্তেজনা থাকায় ভারতীয় সেনা প্রস্তুত ছিল। ফলে চিনা সেনা সুবিধা করতে পারেনি।
এর পরে দ্বিপাক্ষিক ঊর্ধ্বতন সেনা স্তরের আলোচনায় মুখোমুখি অবস্থান থেকে ‘সেনা পিছনো’ (ডিসএনগেজমেন্ট)-র বিষয়ে ঐকমত্য হয়। ইতিমধ্যে তা কার্যকরও হয়েছে।
ভারতীয় বায়ুসেনার সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই দেখা যাচ্ছে, ভারতের সীমান্তে বেশি সংখ্যক চিনের যুদ্ধবিমান টহল দিচ্ছে। যার পাল্টা হিসেবে রাফায়েল, সুখোইয়ের মতো শক্তিশালী যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা হয়েছে অরুণাচল সীমান্তে।