আরও পড়ুন Duare Sarkar : নিষিদ্ধপল্লীতে আয়োজিত বিশেষ দুয়ারে সরকার শিবির
গত এপ্রিল মাসে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই জানিয়েছিলেন শীঘ্রই পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচন হবে। পাহাড়ে এই মুহূর্তে শুধু পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতের দু'টি স্তর আছে। সংশোধনী এনে সেখানে জেলা পরিষদ গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে। পাহাড়ের পঞ্চায়েত নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ঢিলেমির অভিযোগ অবশ্য আনছে রাজ্য। রাজ্য প্রশাসন নজর রেখেছিল পাহাড়ের সব রাজনৈতিক দল একজোট হয়ে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে কিনা? পুরভোটে সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। ফলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর, জিটিএ ভোটের প্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়া হল।
advertisement
নবান্নের তরফে পাহাড়ের দলগুলিকে আগেই সেই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল।পাহাড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দাবি দীর্ঘ দিনের। জিটিএ-র পর গোটা রাজ্যের সঙ্গে সেই ভোট পর্বও মিটিয়ে ফেলতে চাইছে রাজ্য সরকার। গত ২৬ অক্টোবর কার্শিয়াং সফরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পাহাড় সমস্যার চিরকালীন সমাধানের কথা বলেছিলেন। সমস্ত দলকে একজোট হতে বলেছিলেন। কমিটি গড়েছিলেন। যাতে পাহাড়ের যাবতীয় প্রয়োজনীয় ইস্যু নিয়ে আলোচনা হতে পারে।এই নিয়ে গত এপ্রিল মাসে মাসে আলাদা আলাদা করে কথা হয়েছে অনীত থাপা-বিমল গুরুং-রোশন গিরিদের সঙ্গে। তবে এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বিনয় তামাং যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। আর পাহাড়ের নতুন আঞ্চলিক দল হিসেবে উঠে এসেছে হামরো পার্টি। ফলে পাহাড়ে পঞ্চায়েত ভোটকে গুরুত্ব দিয়ে দেখার কথা ভাবা হচ্ছে। প্রশাসনিক এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে পাহাড়ের সব আঞ্চলিক দল।
অনীত থাপা জানিয়েছেন, নির্বাচনের পরিস্থিতি রয়েছে। সকলে তাতে যোগদান করছেন এটা পুরভোটের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত। এবার বাকি নির্বাচন করিয়ে নেওয়া হোক। সব রাজনৈতিক দলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি।
তবে অনীতের কথায় ভোটের দিন ঘোষণা হয়ে গেলে সুবিধা হত। হামরো পার্টির নেতা অজয় এডওয়ার্ড জানিয়েছেন, পাহাড়ে নির্বাচনে তারা একাই লড়াই করবে। অজয় বিমল-অনীত সুযোগ পেয়েও পাহাড়ের উন্নয়ন করেননি। আমরা সেই উন্নয়ন করতে চাই। যদিও অন্য সুর রোশন গিরির গলায়। চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন তিনি, যাতে এখনই জিটিএ ভোট না হয়। আর আজ থেকে জিটিএ ভোটের বিরোধীতায় ধর্ণায় বসছেন বিমল গুরুং।