মালদার হবিবপুরের কেন্দপুকুর হাইস্কুলে ৯১ জন পড়ুয়ার টাকা গিয়েছে অন্য অ্যাকাউন্টে। আজ স্কুল খুলতেই হাজির হন মালদহে জেলা প্রশাসনের তদন্তকারী দল। ওই দলে রয়েছেন মালদহের জেলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক বাণীব্রত দাসও। তদন্তকারীদের সামনে নিজেদের বঞ্চনার বিষয় জানাতে হাজির হয় ছাত্র-ছাত্রীরা। তাদের কাছ থেকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য কবে, কাকে জমা দিয়েছিলেন এসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়।
advertisement
অন্যদিকে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের কনুয়া ভবানীপুর হাইস্কুলে ৩৪ জন পড়ুয়ার ট্যাবের টাকা গায়েবের অভিযোগ। স্কুল খুলতেই সেখানে পৌঁছান চাঁচোলের মহকুমা শাসক সৌভিক মুখোপাধ্যায়, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সোমনাথ সাহা, হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি, শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকদের নেতৃত্বে তদন্তকারী দল। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, তদন্তকারীদের বহু প্রশ্নের কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি প্রধান শিক্ষক। এই স্কুলে পরিচালনা সংক্রান্ত বেশকিছু অনিয়মও প্রশাসনের নজরে এসেছে।
এদিকে কনুয়া ভবানীপুর হাইস্কুলে প্রধান শিক্ষকের শাস্তি ও অপসারণের দাবিতে স্কুলের বাইরে বিক্ষোভ। বিক্ষোভের নেতৃত্বে হরিশ্চন্দ্রপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ নরেন্দ্রনাথ সাহা। বাম- কংগ্রেস জোট পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির নেতৃত্বের দাবি, এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্ত। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
ওই দুটি স্কুলের পাশাপাশি মালদহের গাজোলের চাকনগর পঞ্চায়েতের ডোবাখোকসান বৈরডাঙী খান্তরানী হাইস্কুলেও একটি তদন্তকারী দল পৌঁছায়। ওই স্কুলেও ডেটা এন্ট্রির দায়িত্বে থাকা করনিক-সহ কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের তরফে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সরকারি টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে যাওয়ার ঘটনায় কেউ বা কারও জড়িত থাকার প্রমাণিত হলে কাউকেই রেয়াত করা হবে না। দৃষ্টান্তমূলক আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পাশাপাশি ব্যাঙ্কের মাধ্যমে গায়েব হওয়া টাকা যাতে উদ্ধার করা যায় সেই চেষ্টাও করা হচ্ছে।